মাথা পেতে অভিযোগ শোনার নির্দেশ গৌতমে দেবের। — ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় নেতৃত্বদের সাধারণ মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানোর নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা পর্যবেক্ষক গৌতম দেব। জেলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে রবিবার আলিপুরদুয়ারের একটি বেসরকারি হোটেলে সভা করন গৌতম। সেখানে তিনি এ-ও জানান, আগামী দিনে তিনিও গ্রামে গ্রামে প্রচারে থাকবেন। সেখানে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সামলাবেন কী ভাবে? শিলিগুড়ির মেয়র জানিয়েছেন, সব মানুষের অভিযোগ শুনতে হবে এবং যথাযথ ভাবে তার উত্তর দিতে হবে।
কিছু দিন আগেই কলকাতার কালীঘাটে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদের বৈঠক শেষে আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যবেক্ষক হিসেবে গৌতম দেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই দায়িত্ব পেয়েই রবিবার আলিপুরদুয়ারের একটি বেসরকারি হোটেলে তৃণমূলের জেলা এবং ব্লক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সভা করেন গৌতম। ঘন্টাখানেক ধরে চলা ওই সভায় দলের নেতাদের আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রত্যেকটি অঞ্চলের বুথে-বুথে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের নির্দেশ দিয়েছেন পর্যবেক্ষক। ওই কর্মসূচিতে কিছু কিছু জায়গায় নিজে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন। সভায় ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিকবরাইক, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী, আলিপুরদুয়ার ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি লুইস কুজুর-সহ তৃণমূলের প্রতিটি ব্লক সভাপতি এবং জেলার প্রায় সমস্ত নেতৃত্বরা। সভা শেষে গৌতম দেবকে প্রশ্ন করা হয়, আগামী দিনে গ্রামে-গ্রামে গেলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কী জবাব আসবে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘মানুষের প্রশ্ন থাকবে। সেই প্রশ্নের যথাযথ ভাবে উত্তর দেব। কোনও জায়গায় যদি উত্তর না থাকে, মাথা পেতে মানুষের অভিযোগকে মান্যতা দেব।’’ এ প্রসঙ্গে গৌতমকে বিঁধে ফালাকাটার বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন বলেন, ‘‘ওরা মানুষের ঘরে ঘরে যেতে পারে কিন্তু লাভ হবে না। ’’
যদিও আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিকবরাইকের দাবি, ‘‘বিজেপি কী বলল তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। ওরা গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে জিতলেও পুরভোটে ধরাশায়ী হয়েছে। কারণ ওরা মানুষের প্রতিশ্রুতি রাখেনি। আগামী পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’’