প্রতীকী ছবি
আজ সোমবার থেকে পদাতিক এবং আরও ৫টি রুটে স্পেশাল যাত্রী ট্রেন চলবে। আজ, সোমবার শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে পদাতিক। আর মঙ্গলবার ফিরতি পথে নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে যাত্রীদের পরীক্ষা করে ট্রেনে ওঠানো হবে। কারও জ্বর বা উপসর্গ থাকলে তাঁর যাত্রা বাতিল করা হবে, তবে সেক্ষেত্রে টাকা ফেরত দেবে রেল। আজ, সোমবার থেকে চলবে অমৃতসর- নিউ জলপাইগুড়ি কর্মভূমি, নয়াদিল্লি-আলিপুরদুয়ার মহানন্দা এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-ডিব্রুগড় ব্রহ্মপুত্র মেল, গুয়াহাটি- লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস (সাপ্তাহিক) এবং গুয়াহাটি-জোরহাট টাউন জনশতাব্দী এক্সপ্রেস।
রেলের একটি সূত্রে খবর, দু’টি ট্রেনের জন্য স্টেশনে ঢোকা-বেরোনোর আলাদা রুট রাখছে না রেল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই নানা ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
সেটা কী ভাবে? এনজেপির কর্তাদের দাবি, কলকাতা বা কিসানগঞ্জের দিক থেকে আসা দু’টি ট্রেনকে আপ লাইনে একসঙ্গে এনজেপি ঢোকানো হচ্ছে না। একটি ট্রেন ছেড়ে গেলে পরের ট্রেনটিকে সিগনাল দেওয়া হচ্ছে। আগে ট্রেনের যাত্রীরা বেরিয়ে গেলে দ্বিতীয় ট্রেন ঢুকছে। ডাউন-এর ক্ষেত্রে রেল কর্তাদের দাবি, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে দিল্লি বা কলকাতাগামী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন এলে তা থেকে এনজেপিতে যাত্রী নামার থাকে না। এ তো গেল প্ল্যাটফর্মের বিষয়। যে সমস্ত শ্রমিকরা ট্রেন থেকে নেমে বাসের জন্য স্টেশন চত্বরে অপেক্ষা করবেন, তাঁদের সঙ্গে যাত্রী স্পেশালের জন্য আসা যাত্রীদের কী ভাবে আলাদা করা হবে? এনজেপি স্টেশন অধিকর্তা রাজীব ঝা বলেন, ‘‘শ্রমিক স্পেশালের যাত্রীদের স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা মূল গেটে পাহারা রাখছি। তাঁরা বেরিয়ে গেলেই যাত্রী স্পেশালের যাত্রীদের ঢোকানো হবে।’’
নতুন যে যাত্রী স্পেশালগুলি চলবে তাতে কম্বল, চাদর, রান্না করা খাবার মিলবে না। খাবারের প্যাকেট, জল আলাদা কিনতে হবে। এই ট্রেনগুলির বুকিং এক সপ্তাহ আগেই শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের জন্য আসন ভর্তিও হয়ে গিয়েছে। এখন ওয়েটিং বা আরএসি টিকিট কাটতে পারলেও, টিকিট কনফার্ম হলে তবেই ট্রেনে ওঠা যাবে।
রবিবার গোয়া থেকে আসা মিজোরামগামী একটি শ্রমিক স্পেশাল এনজিপি এসে পৌঁছয়। করোনা উপসর্গ থাকায় ওই ট্রেনের যাত্রী লালনাই কিমাহাকে কাওয়াখালির সারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মিজোরামের বাসিন্দা।