tea garden

শ্রমিকদের পিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেবেন মালিকপক্ষ

শ্রম দফতর সুত্রে খবর, ২৩ মাস ধরে শ্রমিকদের মজুরি থেকে কেটে নেওয়া প্রায় এক কোটি টাকা আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে তাঁদের পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন মালিকপক্ষ। এর পরেই গত চার সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলন থেকে সরে আসতে রাজি হন শ্রমিকেরা।

Advertisement

রাজু সাহা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৫০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

কোহিনূর চা বাগানের শ্রমিকদের পিএফের দাবিতে আন্দোলনে সুফল মিলল। শনিবার রাত পর্যন্ত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে রফাসূত্র মিলল। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের আন্দোলনের চাপে তাঁদের দাবি কার্যত মানতে বাধ্য হলেন।
শ্রম দফতর সুত্রে খবর, ২৩ মাস ধরে শ্রমিকদের মজুরি থেকে কেটে নেওয়া প্রায় এক কোটি টাকা আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে তাঁদের পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন মালিকপক্ষ। এর পরেই গত চার সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলন থেকে সরে আসতে রাজি হন শ্রমিকেরা। এ ছাড়া, চলতি মাস থেকে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটির টাকাও দিতে শুরু করবেন বলে সূত্রের খবর।
কোহিনূর চা বাগানে পিএফের দাবিতে শ্রমিকেরা গত চার সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে ন’টা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, গত তেইশ মাস ধরে মজুরি থেকে টাকা কেটে নিলেও তা শ্রমিকদের পিএফ অ্যাকাউন্ট জমা করেননি মালিকপক্ষ। এর মধ্যে মাত্র ছয় মাসের টাকা জমা করেন মালিকপক্ষ। কিন্তু শ্রমিকেরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পুরো তেইশ মাসের টাকা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে কোনও ভাবে সরে আসবেন না। এ দিকে আন্দোলনের ফলে প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে কাজ কম হচ্ছিল বাগানে। ক্ষতির মুখে পড়ছিলেন মালিকপক্ষ।
এই সমস্যা মেটাতে গত ৩১ আগস্ট ফের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ডাকেন মালিকপক্ষ। শ্রমিকপক্ষ না যাওয়ায় বাতিল হয় বৈঠক। এর পরে গত ২ সেপ্টেম্বর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ডাকেন মালিকপক্ষ। বৈঠকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের কেন্ত্রীয় নেতারা গেলেও বাগান থেকে কোনও শ্রমিক বা শ্রমিক সংগঠনের বাগান ইউনিটের কেউ উপস্থিত না হওয়ায় ফের বৈঠক বাতিল হয়ে যায়। তার আগে শ্রম দফতর সমস্যা মেটাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকে। সে বৈঠক বয়কট করেছিলেন শ্রমিকরা। এর পরেই ৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকে শ্রম দফতর।
সিটু নেতা বিদ্যুৎ গুণের অভিযোগ, আন্দোলনে জেরে শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের দাবি পূরণ হওয়ায় আমরা খুশি। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দাবি মেটাতে হবে মালিকপক্ষকে।
ওই চা বাগানের বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার কর্নাধার কেশব সিংহ জানান, আমরা ইতিমধ্যে ছয় মাসের টাকা শ্রমিকদের পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করেছি। আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে পুরো তেইশ মাসের টাকা আমরা জমা করে দেব। বাগান বাঁচাতে শ্রমিকদেরও সহযোগিতা করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement