Rehab Centre

‘পিটিয়ে খুন’ নেশামুক্তি কেন্দ্রে, গ্রেফতার মালিক

সংশ্লিষ্ট জরুরি বিভাগের ডাক্তারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। খবর পেয়ে থানায় ছুটে যান পুলিশ সুপার রাহুল দে। থানা কর্তৃপক্ষ লালবাজারে বার্তা পাঠিয়ে ঘটনার কথা জানান।

Advertisement

অনুপরতন মোহান্ত

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বেসরকারি এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি রোগীকে পিটিয়ে খুন করে দেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নামিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সকালে বালুরঘাট থানার পরানপুরের ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিক রণদীপ ঘোষ এবং ওই কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন বাবলু মিঁয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, কুমারগঞ্জ থানার ফকিরগঞ্জের বাসিন্দা নেপাল রায়কে (৪০) দিন চারেক আগে বাড়ির লোকেরা পরানপুরের ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করেছিলেন।

Advertisement

শুক্রবার অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জন টোটোয় করে নিহত নেপালকে নিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ফেলে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। কারও কোনও পরিচয় জানতে না পেরে আতান্তরে পড়েন বালুরঘাট থানা কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট জরুরি বিভাগের ডাক্তারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। খবর পেয়ে থানায় ছুটে যান পুলিশ সুপার রাহুল দে। থানা কর্তৃপক্ষ লালবাজারে বার্তা পাঠিয়ে ঘটনার কথা জানান। বাগুইহাটির ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে টিম তৈরি করে দ্রুত তদন্তে নেমে পড়েন আইসি শান্তিনাথ পাঁজা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনের কিনারা করে আত্মগোপনকারী অভিযুক্ত দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। রবিবার বালুরঘাট আদালত থেকে ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে বাকি অভিযুক্তদের তল্লাশি শুরু হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার জানান, নিহতের বাড়ির লোকের তরফে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্মীদের বিরুদ্ধে নেপালকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, তথ্য প্রমাণ লোপ ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সরকারি অনুমতি নিয়ে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র চালু হয়েছে কিনা, তা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

আইসি বলেন, “তিন-চার মাস আগে পরানপুরে হিলি থানার বৈকুণ্ঠপুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত রণদীপ নেশামুক্তি কেন্দ্র চালু করেন। কুমারগঞ্জ ও গঙ্গারামপুরের কয়েক জন রোগীকে বাড়ির লোকেরা ভর্তি করেছিলেন। শুক্রবার ওই কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যেতে গেলে নেপালকে ধরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিলে দু’পক্ষের হাতাহাতিতে নেপালকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ।” গঙ্গারামপুর থানার নেহেম্বা এলাকার বাসিন্দা ধৃত বাবলু মিঁয়া নেপাল খুনে অন্যতম অভিযুক্ত। এর পরে দেহটি টোটোয় চাপিয়ে তিন জন বালুরঘাট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এনে পালায় বলে অভিযোগ। ওই টোটোর সঙ্গে স্কুটি চালিয়ে রণদীপও হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েছিলেন বলে আইসি জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement