এনজেপি স্টেশন

প্ল্যাটফর্মে নেই ওভেন-সিলিন্ডার, ক্ষুব্ধ বিক্রেতা-যাত্রীরা

রেলের পক্ষ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) প্ল্যাটফর্মে থাকা বেআইনি খাবারের স্টল থেকে সমস্ত গ্যাস ওভেন ও গ্যাস সিলিণ্ডার, স্টোভ খুলে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ বিক্রেতা ও যাত্রীরা ডিআরএমের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৬ ০৭:১৭
Share:

রেলের পক্ষ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) প্ল্যাটফর্মে থাকা বেআইনি খাবারের স্টল থেকে সমস্ত গ্যাস ওভেন ও গ্যাস সিলিণ্ডার, স্টোভ খুলে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ বিক্রেতা ও যাত্রীরা ডিআরএমের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। শুক্রবার একটি ফ্যাক্স মারফত এই অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। রেলের যুক্তি, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী প্লাটফর্মে অরক্ষিত অবস্থায় কোনও রান্নার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তাই এই সিদ্ধান্ত। ওই ব্যবসায়ীদের দাবি, যাত্রী পরিষেবার কথা মাথায় রেখেই তাঁদের রান্নার অনুমতি দেওয়া উচিত। এ দিন রেলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

এনজেপি স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন প্রায় ৩২টি এমন খাবারের স্টল রয়েছে, যেগুলি রেলের হিসেবে বেআইনি। তাঁরা জবরদখল করে রয়েছে বলে জানান এনজেপির এরিয়া ম্যানেজার পার্থ শীল। তিনি বলেন, ‘‘আদালতে এঁরা মামলা হেরে গিয়েছে। তা সত্বেও রাজনৈতিক দলের ট্রেড ইউনিয়নের চাপে আমরা এঁদের উঠিয়ে দিতে পারছি না। কিন্তু বেআইনিভাবে ব্যবসা করতে দেওয়া যাবে না।’’ রেল মন্ত্রক থেকে এ বিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়ন আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘সমস্যার কথা শুনেছি। কয়েকদিনের মধ্যে রেলের সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করব।’’

রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহ থেকেই ১, ২, ৩, ৪ নম্বর প্লাটফর্মের উপরে অভিযান চালিয়ে বেআইনিভাবে থাকা দোকানের সমস্ত রান্নার জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারপর থেকে শুধুমাত্র শুকন‌ো খাবার ও প্যাকেটজাত খাবার বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে ব্যবসা চলছে না বলে দাবি করেন বিক্রেতারা। অমল বর্মন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘ব্যবসা প্রায় লাটে উঠেছে। সেই সঙ্গে যাত্রীরা গরম জল, চা, দুধ কোনও কিছুই পাচ্ছেন না। ফলে সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করেই সেগুলি বন্ধ করা ঠিক হয়নি বলে তাঁর দাবি। অন্য এক বিক্রেতা গোপাল দাসের দাবি, ‘‘যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই এগুলি চালু করা উচিত।’’ এ বিষয়ে ভক্তিনগর রেলওয়ে যাত্রী সংগঠনের সভাপতি দীপক মহান্তি এই সমস্ত বিক্রেতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। সে বিষয়ে রেলকে দ্রুত বিষয়টি দেখতে হবে। প্রয়োজনে রেল বিক্রেতাও নিয়োগ করুক। কিন্তু যাত্রীদের সমস্যা মেনে নেওয়া যাবে না। আমি ডিআরএমের কাছে অভিযোগ জানাব।’’ তবে বর্তমান বিক্রেতাদের প্রতিও সহানুভূতিশীল হতে অনুরোধ জানান তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement