মহামিছিলে বহিরাগতরা কেন, কটাক্ষ

শক্তি দেখাতে বাইরে থেকে লোক এনে পুরসভা এলাকায় মহামিছিল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুরসভা নির্বাচনের আগে শেষ রবিবার দিনহাটায় মহামিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল। মিছিলের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩৪
Share:

কোচবিহারে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মিছিল। এই মিছিল ঘিরেই বিতর্ক। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।

শক্তি দেখাতে বাইরে থেকে লোক এনে পুরসভা এলাকায় মহামিছিল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুরসভা নির্বাচনের আগে শেষ রবিবার দিনহাটায় মহামিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল। মিছিলের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বামেদের অভিযোগ, ওই মিছিলে বাইরে থেকে গাড়িতে করে লোক আনে তৃণমূল। দিনহাটা মহকুমার সব জায়গা থেকে তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে আসা হয় বলে দাবি। তাদের কটাক্ষ, লোক হয়েছে শ’পাঁচেক। তাঁর মধ্যে চারশো লোক আনা হয়েছে বাইরে থেকে। শাসক দল অবশ্য, বামেদের ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “কয়েক হাজার মানুষ মিছিলে সামিল হয়েছেন। কেউই বাইরের নয়। পুরসভার এলাকার মানুষ। আসলে বামেরা লোক খুঁজে পাচ্ছে না। তাঁদের মিছিল, মিটিঙয়ে লোক নেই। তাতেই হতাশ হয়ে পড়ে এমন কথা বলছেন তাঁরা।”

Advertisement

ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “তৃণমূল গ্রামাঞ্চল থেকে লোক এনে শহরে মিছিল করছে। শহরে লোক খুঁজে পাচ্ছে না তারা। শহরের মানুষ সব দেখছেন। পঞ্চায়েত ভোটের পরে গ্রামে যে সন্ত্রাস তৈরি হয়েছিল, তা মানুষ চোখে দেখেছে। তা থেকেই শিক্ষা নিয়েই পুরসভা ভোট দেবেন তাঁরা।” শুধু তৃণমূল নয়, রবিবাসরীয় প্রচারে সকাল থেকেই সব রাজনৈতিক দলই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কোচবিহারের চার পুরসভায়। তৃণমূলের হয়ে শহরে প্রচারে কৃষি মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে আসেন সোমেন মিত্র। তৃণমূলের হয়ে এদিন কোচবিহারের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পথসভা করেন কৃষি মন্ত্রী বেচারাম মান্না। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী প্রয়াত তৃণমূল নেতা বীরেন কুন্ডুর ছেলে শুভজিৎ। বিকালে ওই ওয়ার্ডেই কংগ্রেস প্রার্থী পার্থপ্রতিম ঈশোরের সমর্থনে রোড শো করেন সোমেন মিত্র। পরে নতুনপল্লি এবং তল্লিতলায় পথসভা করেন তিনি। এ ছাড়াও সব দলের প্রার্থীরাই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে ভোট চেয়েছেন। সিপিএমের পক্ষ থেকে কোচবিহারে মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিল শহরের প্রধান রাস্তা দিয়ে ঘুরে সিপিএম জেলা পার্টি অফিসে গিয়ে শেষ হয়। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী বিদায়ী বিরোধী দলনেতা মহানন্দ সাহা ওই মিছিলে থাকার পাশাপাশি নিজের ওয়ার্ডেও প্রচার করেন। কলাবাগানে বামেদের পক্ষ থেকে সভা করা হয়। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী গীতা উপাধ্যায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রচার করেন। কোচবিহার পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান দীপক ভট্টাচার্য বাড়িতে বাড়িতে প্রচারে যান। বিজেপির পক্ষ থেকেও কোচবিহারে মিছিল বের করা হয়। বেশ কয়েক জায়গায় পথসভা করেন তাঁরা। তৃণমূলের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আমিনা আহমেদের হয়ে মিছিলে সামিল হন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন দিনহাটায় প্রচারে যান। তিনি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী আঞ্জুমান বিবিকে নিয়ে প্রচার করেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদক উদয়নবাবু দিনহাটার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি সকাল থেকে নিজের ওয়ার্ডে ছিলেন। পরে অন্য বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রচারে যান তিনি। মাথাভাঙায় প্রার্থীদের নিয়ে টোটোতে চেপে তৃণমূল শহরে মিছিল করে। বাম ও বিজেপি প্রার্থীরা অবশ্য বাড়িতে বাড়িতে প্রচারেই ছিলেন। তুফানগঞ্জ পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করেন তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান। ২, ৭ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করেন সিপিএম নেতা তমসের আলি। সব দলের নেতারাই এদিন বলেন, “এদিনের আবহাওয়া প্রচারের পক্ষে খুব ভাল ছিল। হালকা ঠাণ্ডা থাকায় প্রচার করে আমরা ক্লান্ত হয়নি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement