প্রতীকী ছবি।
জাতীয় সড়কের বেহাল অংশ দ্রুত সংস্কার করতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের নিয়োগ করা স্পেশ্যাল অফিসার। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া দোমহনী থেকে উল্লাডাবড়ি পর্যন্ত অংশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংস্কার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে এখনও জমি জটের কারণে পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়ক তৈরির কাজ আটকে রয়েছে। সেই জট কাটাতে আগামী সপ্তাহে এই দুই জেলায় যাবেন হাইকোর্টের নিয়োগ করা স্পেশ্যাল অফিসার অনিন্দ্য লাহিড়ি। দুই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। এ দিন শুক্রবার আনন্দবাজার পত্রিকায় পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়ক তথা ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশার খবর প্রকাশিত হয়। তার পরেই হাইকোর্টের স্পেশ্যাল অফিসার দ্রুত সড়ক সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রকল্প আধিকারিক সঞ্জীব শর্মার সঙ্গে এ দিন কলকাতা থেকে ফোনে কথা বলেছেন অনিন্দ্যবাবু। দোহমনী থেকে উল্লাডাবড়ি অংশটির অবস্থা জানতে চান তিনি। ওই অংশে রাস্তার পিচের আস্তরণ উঠে গিয়েছে। দেখলে মনে হবে মাটির রাস্তা। তাতে বড় বড় গর্ত।
একসময়ে জমি জটের কারণে উল্লাডাবরিতে উড়ালপুল তৈরির কাজ আটকে ছিল। তাই রাস্তার এই অংশটুকুর কাজেও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ হাত দেননি বলে খবর। মাস ছয়েক হল জমি জট মিটেছে। তার পরেও কেন সংস্কার হয়নি, তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন স্পেশ্যাল অফিসার। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রকল্প আধিকারিক সঞ্জীব শর্মা বলেন, “প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তার ক্ষতি হয়। ওই রাস্তায় পিচের প্রলেপ বিছিয়ে দেওয়া হবে। দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।”
শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়িতেও কিলোমিটার চারেক অংশে রাস্তা বেহাল। সেখানে জমি জট রয়েছে। তা নিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দফতরের সঙ্গে কথা চলছে বলে হাইকোর্টের স্পেশ্যাল অফিসার জানান। ওই অংশে দখলদার উচ্ছেদের অভিযান হতে পারে বলে খবর।
গত বছর একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে শিলিগুড়ির ঘোষপুকুর থেকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত সড়কের কাজ দ্রুত শেষের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। স্পেশ্যাল অফিসারও নিয়োগ করে হয়। তার পরেই জাতীয় সড়কের কাজ অনেকটা এগোয়।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি কাজের গতি ফের শ্লথ হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের দাবি, জাতীয় সড়কের অংশে জমি জট তেমন নেই। আলিপুরদিুয়ার ও কোচবিহারের অংশে জমি জটের কারণে সড়কের কাজ শুরু হয়নি বলে দাবি। সেই জট ছাড়াতেই ১৬ অক্টোবর দুই জেলায় যাওয়ার কথা স্পেশ্যাল অফিসারের।