বাজির ধোঁয়ায় ছেয়ে গেল ইংরেজবাজারের আকাশ। ছবি স্বরূপ সাহা।
পুজোর মাত্র কয়েক দিন আগে অভিযানে নেমেছিল পুলিশ। কয়েকটি থানা এলাকা থেকে কিছু বাজি উদ্ধারও হয়। কিন্তু কালীপুজোর রাতে শব্দদানবের সেই পুরনো দাপটই দেখল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। হিলি, বালুরঘাট, তপন, গঙ্গারামপুর বুনিয়াদপুর এবং কুশমণ্ডির মতো এলাকাগুলিতে শব্দবাজির দাপট চলে গভীর রাত পর্যন্ত। পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। কেবলমাত্র হিলি থানায় কয়েক প্যাকেট বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
কালীপুজোর রাত ভারী হতেই শব্দবাজি ফাটতে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায়। এক জনকেও কেন ধরা গেল না? কালীপুজোর আগে জেলার পুলিশ-কর্তারা দাবি করেন, সাদা পোশাকে পুলিশ ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। অথচ, দীর্ঘক্ষণ ধরে শব্দবাজি ফাটে বলে অভিযোগ এসেছে একাধিক এলাকা থেকে। পুলিশ কেন তাদের খুঁজে পেল না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল বলেন, ‘‘বাজির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলছে। পুজোর আগেই বেশ কয়েক কুইন্টাল বাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কালীপুজোর রাতেও কিছু বাজি বাজেয়াপ্ত হয়।’’ জেলার আটটি থানার মধ্যে কালীপুজোর রাতে কেবলমাত্র হিলি থানায় মাত্র কয়েক কেজি বাজি আটক হয়। গ্রেফতারের কোনও খবর নেই।
কালীপুজোর রাতে গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর, কুশমণ্ডি ও হরিরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় দেদার বাজি ফেটেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, রাত বাড়তেই এ সব জায়গায় বাজির শব্দের পাশাপাশি ধোঁয়ায় ভরে যায় এলাকা। প্রশ্ন উঠেছে, নিষিদ্ধ বাজি পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘লুকিয়ে কোথাও শব্দবাজি ফাটানো হতে পারে। লাগাতার নজরদারি চলছে। নিষিদ্ধ বাজি যাতে না ফাটে, তার জন্য রাতে টহলদারি বাড়ানো হচ্ছে।’’ পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের তরফে তুহিনশুভ্র মণ্ডল এই দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরাও লাগাতার সচেতনতা কর্মসূচি চালাচ্ছি। পুলিশ ও শব্দবাজি নিয়ে আগের চেয়ে কিছুটা তৎপর ছিল। কিন্তু তবুও আইন যারা ভাঙছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে একটা বার্তা দেওয়া খুব জরুরি।’’
(তথ্য সহায়তা: নীহার বিশ্বাস)