সরেজমিনে: সোমবার মহানন্দা অভয়ারণ্য লাগোয়া মহানন্দা নদী পরিদর্শনে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গ সফরে এসে মালবাজার যাওয়া বা দশমীর রাতে হড়পা বানে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কিছু বললেন না রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সোমবার সকালে মন্ত্রী শিলিগুড়ি এসে গুলমার কাছে, মহানন্দা অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া মহানন্দা নদী পরিদর্শন করেন। নদীর মাঝে প্রচুর পাথর ও বালি জমে যাওয়ায় সেগুলি সরানোর নির্দেশ দেন। বিভিন্ন পাহাড়ি ঝোরার খোঁজখবরও নেন। তবে মালবাজারে যাননি। যদিও মন্ত্রীর ডুয়ার্সে যাওয়ার কথা ছিল না বলেই প্রশাসন সূত্রের খবর। ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
মালবাজার প্রসঙ্গ উঠতেই এ দিন বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘মাল নদীর ঘটনা বন দফতরের এলাকায় ঘটেনি। তাই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’ তিনি জানান, জঙ্গল বা বন দফতরের এলাকায় বিনা অনুমতিতে পিকনিক ও অনুপ্রবেশ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া নদী ও ঝোরাগুলি বিভাগীয় বনাধিকারিকের (ডিএফও) তত্ত্বাবধানে থাকে। সেখানে বিনা অনুমতিতে কিছু হলে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাল নদীতে হড়পা বানে আট জনের মৃত্যুর পরে শাসক দলের উত্তরবঙ্গের দুই মন্ত্রী—উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, আদিবাসী কল্যাণমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক এবং শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব মালবাজারে যান। শাসক দলের অন্দরে অনেকে মনে করেছিলেন, ওই দুর্ঘটনার পরে, কলকাতা থেকে প্রথম কোনও মন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে এলেন। পাশেই মালবাজার। তাই তিনি সেখানে যেতে পারেন। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয় সেখানে যাননি।
বিষয়টি নিয়ে টিপ্পনী কাটতে ছাড়ছে না বিজেপি। দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ বলেন, ‘‘কলকাতার মানুষের কাছে উত্তরবঙ্গের গুরুত্ব কী, তা বোঝাই যাচ্ছে। মালবাজারের পরিবারগুলির খবর নিয়ে পাশে না দাঁড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শিলিগুড়িতে নদী, জঙ্গল, পার্কে ঘুরলেন। এই উদাসীনতার জবাব মানুষ দেবে।’’ দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সমতলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘মালবাজারের ঘটনায় আমরা সকলেই শোকাহত। বিজেপি তার মধ্যেও উত্তর-দক্ষিণ করে রাজনীতি করে যাচ্ছে । বনমন্ত্রী তো বনের বিষয়েই তদারকি করবেন।’’