রবিবার দম্পতির বাড়িতে গিয়ে তাঁদের মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
দম্পতির আত্মহত্যায় ‘প্ররোচনা’র ঘটনায় অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় ও অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত পুলিশ পদক্ষেপ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার দুপুরে জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ায় দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দম্পতির মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ। অভিযুক্তেরা ‘প্রভাবশালী’ বলেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ দিলীপের। এ ব্যাপারে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও দাবি তাঁর।
দিলীপ বলেন, ‘‘এই ঘটনা এক বড় চক্রান্ত। আত্মহত্যার পিছনে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় মূল অভিযুক্ত। এছাড়াও তাঁর কয়েকজন চ্যালাও রয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় চেয়ার আলো করে বসে থাকেন সৈকত। স্বভাবতই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে সাহস পাচ্ছে না।’’ পাশাপাশি, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত কুন্তল ও শান্তনুদের সঙ্গেও সৈকতের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন দিলীপ। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘জলপাইগুড়িতে সৈকতের বাড়িতে এসেও থেকেছেন কুন্তল-শান্তনু।’’
অন্য দিকে, অভিযুক্ত সৈকতের দাবি, এই আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। বিজেপির ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে’র কাছে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন না বলে দাবি করেছেন সৈকত। সেই সঙ্গে সৈকত বলেন, ‘‘কোনও দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত থাকার একটিও প্রমাণ দিলীপ ঘোষ দিতে পারবেন না। কুন্তলদের সঙ্গেও যোগাযোগের কোনও প্রমাণ দেখাতে পারবেন না।দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ করা হবে।’’
আত্মঘাতী দম্পতির দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এ দিন ওই দম্পতির মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শিখার অভিযোগ, কে বা কারা তাঁর ভাইজির উপর নজরদারি চালাতে বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছেন।কোনও অনুমতি ছাড়াই এই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। শিখা আরও বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে যতদূর যেতে হয় যাব।’’ এ দিন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়ও দিলীপের সঙ্গে ওই দম্পতির বাড়িতে যান। তা নিয়ে সৈকতের কটাক্ষ, ‘‘আত্মহত্যার ঘটনার ২২ দিন পর দম্পতির মেয়ের সঙ্গে দেখা করার কথা মনে পড়ল সাংসদ জয়ন্ত রায়ের! দিলীপ ঘোষও এতদিন পর দেখা করতে আসারসময় পেলেন!’’