প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিধি ভেঙেছেন মন্ত্রী, দাবি

ব্যবসায়ী সংগঠনের সভায় গিয়ে শহরের উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। সোমবার মাল্লাগুড়ির একটি হোটেলে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের সভায় শহরের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শহরের উন্নয়নের বিভিন্ন কাজের কথা বলেন মন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৪১
Share:

বণিক সংগঠনের সভায় মন্ত্রী। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

ব্যবসায়ী সংগঠনের সভায় গিয়ে শহরের উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। সোমবার মাল্লাগুড়ির একটি হোটেলে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের সভায় শহরের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শহরের উন্নয়নের বিভিন্ন কাজের কথা বলেন মন্ত্রী।

Advertisement

মন্ত্রী জানিয়েছেন, মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানের দ্বিতীয় ফেজের কাজ নির্বাচনের পরেই শুরু হবে। তা ছাড়া, জলপাইমোড় থেকে উত্তরকন্যা পর্যন্ত ‘মডেল রাস্তা’ তৈরি হবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন। শিলিগুড়ি পুরসভায় ক্ষমতায় এলে আলাদা ‘পর্যটন বিভাগ’ খোলার আশ্বাসও দেন মন্ত্রী। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীকে বলে তিনি এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন। টি পার্কে রেলের লাইন নেওয়ার জন্যে তিনি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বলেও জানান। নির্বাচনের পরে মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে রেলমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানানো হবে। তা ছাড়া কারবারের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়েও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। তা ছাড়া বাগরাকোট-এ উড়ালপুল, শ্রীমা সরণির রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করা, মহাবীরস্থানে উড়ালপুলের সংস্কার কাজ নিয়ে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

ব্যবসায়ী সংগঠনের সভায় মন্ত্রীর ওই সমস্ত প্রতিশ্রুতির বক্তব্যকে ঘিরেই বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি-র মতো রাজনৈতিক দলগুলি। এমনকী সিআইআই-র তরফে নির্বাচনের মুখে মন্ত্রীকে তাদের সভায় ডাকা এবং এ ভাবে বলার সুযোগ করে দেওয়া নিয়েও বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘‘কোনও রকম বিধি ভঙ্গের ব্যাপার নেই। ব্যবসায়ীরা তাঁদের সংগঠনের সভায় ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁদের প্রশ্নের উত্তরে ওই সমস্ত জানানো হয়েছে।’’ সিআইআই-এর উত্তরবঙ্গ জোনাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নরেশ অগ্রবাল বলেন, ‘‘মন্ত্রী আমাদের অনুষ্ঠানে থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। আমরাও বিভিন্ন প্রয়োজনে মন্ত্রীকে চাইছিলাম। সে কারণেই এ দিনের সভায় তাঁকে ডাকা হয়েছিল।’’

Advertisement

সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যর অভিযোগ, নিবার্চনের মুখে মন্ত্রী হয়ে এ ভাবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া বিধি ভঙ্গের সামিল। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানাব।’’ আলাদা ভাবে হলেও একই সুরে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস, বিজেপি নেতৃত্বও।

কংগ্রেসের বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, ‘‘মন্ত্রী ওই সভায় গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না। তা বিধি ভঙ্গের সামিল। সিআইআই কী ভাবে ভোটের মুখে শুধু মন্ত্রীকে ডেকে এ ভাবে বলার সুযোগ করে দিল তা নিয়ে সিআইআই-এর চেয়ারম্যানকে আমি চিঠি দেব। কেন বাকি দলের প্রতিনিধিদের তাঁরা সুযোগ দেবেন না?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement