অপেক্ষা: হিলি সীমান্তে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাকের লাইন। ছবি: অমিত মোহান্ত
পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের নির্দেশে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বহিবার্ণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। এ জেলার হিলি আন্তর্জাতিক সীমান্তের স্হলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হয়ে পড়ায় সঙ্কটে রফতানিকারী ব্যবসায়ী থেকে লরির মালিক ও কর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ২০০-র উপর পেঁয়াজ-বোঝাই ট্রাক হিলি সীমান্তে আটকে গিয়েছে। অধিকাংশ ট্রাকের পেঁয়াজ পচনের মুখে। সময়মতো চেকপোস্ট পেরিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজের রফতানি করতে না পেরে শতাধিক ট্রাকের চালক ও কর্মী বিপাকে পড়েছেন। গত চার দিন ধরে তাঁদের ট্রাকের সঙ্গে রাস্তায় রাত কাটাতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক মণ্ডল জানান, গত সোমবার দিল্লি থেকে এক নির্দেশে পেঁয়াজ রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অথচ তত দিনে লেটার অব ক্রেডিট থাকা পেঁয়াজের শতাধিক ট্রাক হিলির ট্রাক টার্মিনাস ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি রাজস্হান, অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেঁয়াজ-বোঝাই হয়ে শতাধিক ট্রাক হিলির পথে রওনা দিয়ে রাস্তায় রয়েছে। ইতিমধ্যে হিলিতে দুশোর উপরে ট্রাকের পেঁয়াজ পচনের মুখে। অশোকের আশঙ্কা, হিলিতেই অন্তত ১০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ রফতানিকারী ব্যবসায়ীরা।
এ দিন এক ট্রাকের চালক প্রীতম সিংহ জানান, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পেঁয়াজ নিয়ে গত সোমবার হিলিতে ঢুকে বিকেলের মধ্যে ওপারে মাল নামিয়ে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে চার দিন ধরে হিলির রাস্তায় আটকে গিয়েছেন। দুর্ভোগে তাঁর মত শতাধিক ট্রাকের চালক, কর্মী। আগেই অনুমতি পাওয়া পেঁয়াজ-বোঝাই ট্রাকগুলিকে রফতানির সুযোগ দিয়ে আর্থিক ক্ষতি কিছুটা কমানোর আর্জি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।