সোমবার সকালে শিলিগুড়ির অনশনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তার সন্দীপ মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ১০ দফা দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। অনশন করতে করতে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। তবে অনশনমঞ্চে শূন্যস্থান পূরণ করতে অন্য জুনিয়র ডাক্তারেরা এগিয়ে আসছেন। সোমবার থেকে শিলিগুড়িতে ‘আমরণ অনশন’-এ বসেছেন জুনিয়র ডাক্তার সন্দীপ মণ্ডল। তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের নাক-কান-গলা বিভাগের পিজিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সোমবার সকাল থেকে সন্দীপ অনশনে বসায় এই মুহূর্তে কলকাতা ও শিলিগুড়ি মিলিয়ে অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হল আট জন।
প্রথমে ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় ছ’জন অনশনে বসেছিলেন। তবে সেই তালিকায় আরজি করের কেউ ছিলেন না। পরের দিন, ৬ অক্টোবর আরজি করের অনিকেত মাহাতো যোগ দিয়েছিলেন ধর্মতলার অনশনমঞ্চে। ওই দিন থেকেই শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের দু’জন অনশনে বসেছিলেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের মনোরোগ বিভাগের পিজিটি প্রথম বর্ষের পড়ুয়া অলোক বর্মা এবং উত্তরবঙ্গ ডেন্টালের ইন্টার্ন সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ১২ অক্টোবর অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন অলোক। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এখনও হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
হাসপাতাল সূত্রে সোমবার সকালে জানা গিয়েছে, অলোক বর্তমানে স্থিতিশীল। তাঁর বেশ কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। অলোকের পরিবর্ত হিসাবে উত্তরবঙ্গের অনশনমঞ্চে সৌভিকের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন নাক-কান-গলা বিভাগের জুনিয়র ডাক্তার সন্দীপ। সোমবার নবম দিনে পড়ল উত্তরবঙ্গের অনশন। শিলিগুড়ির অনশন কর্মসূচির শুরুর দিন থেকেই রয়েছেন সৌভিক। তাঁর রক্তচাপ ওঠানামা করতে শুরু করেছে। অলোক অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তিনি একাই ছিলেন উত্তরবঙ্গের অনশনে। এ বার তাঁর সঙ্গে অনশনে বসলেন সন্দীপ।
কলকাতায় ধর্মতলার অনশনমঞ্চেও একাধিক জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হতে শুরু করেছেন। অনিকেত ১০ অক্টোবর থেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ১২ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। রবিবার রাতে পুলস্ত্য আচার্যও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনিও বর্তমানে এনআরএসে ভর্তি। ধর্মতলার অনশনমঞ্চে এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন স্নিগ্ধা হাজরা, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, তনয়া পাঁজা। তনয়াও সোমবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়নি। ১১ অক্টোবর থেকে আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার আলোলিকা ঘোড়ুই এবং পরিচয় পণ্ডাও যোগ দিয়েছেন অনশনে।