উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। —নিজস্ব চিত্র।
গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়েছিল আগেই। কিন্তু বাড়িতে হানা দিয়ে চমকে গেল তারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের শিলিগুড়ি শাখা। গ্রেফতার করা হয়েছে এক প্রৌঢ়কে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম এমডি আলম। তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়া এলাকার গোয়ালপুকুর থানার লাড়ুখোয়া এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় এসটিএফ। তাতে ওই বাড়ি থেকে পাঁচটি সেভেন এমএম পিস্তল, তিনটি ওয়ান শটার বন্দুক এবং ১৮০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। বাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করে এসটিএফ। ধৃত ব্যক্তি লাড়ুখাওয়া এলাকারই বাসিন্দা। তাঁকে গ্রেফতারের পর গোয়ালপুকুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ভোটের তিন দিন আগে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কোথা থেকে এই অস্ত্র আমদানি করা হয়েছে, কোথাও পাচারের লক্ষ্য ছিল কি না, কোথায় সেগুলোর ব্যবহার হত, এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চলচ্ছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে এসটিএফ ডিএসপি সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এসটিএফের শিলিগুড়ি শাখার তরফে গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে পাঞ্জিপাড়ায় অভিযান চালানো হয়। তাতে মহম্মদ আলম নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করে ওই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কোথা থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র আসছে, কী জন্য তা মজুত করে রাখা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এখনই এর বাইরে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ তবে এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনও যোগসূত্র নেই বলে জানাচ্ছেন ওই আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘‘এর আগেও আমরা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছি। তদন্ত করছি। আর কে জড়িত আছে বা কোথায় পাচার হচ্ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে।’’