ঘটনার আট দিন পরে ধৃত ১। প্রতীকী চিত্র।
দক্ষিণ দিনাজপুরে গঙ্গারামপুর গণধর্ষণ ও মহিলার মৃত্যুর মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক জনকে ঘটনার আট দিনের মাথায় গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত সুকুমার মুর্মুর নাম এফআইআরে নেই। তবে পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তে তার নাম উঠে এসেছে। সে আত্মগোপন করে ছিল। ঘটনার পর থেকে দোষীদের ধরার দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগনা মহল রবিবার গঙ্গারামপুর থানা ঘেরাও করে বড় আন্দোলনের হুমকি দেয়। রাতেই গ্রেফতার হয় সুকুমার। সোমবার দুপুরের পরে, ওই মামলায় আরও এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে নাম গোপন রাখছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
গত সোমবার বিয়েবাড়ি থেকে কয়েক জন দুষ্কৃতী ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর এবং মুখে মোবাইল গুঁজে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ নির্যাতিতার বয়ান নেওয়ার পরে, গণধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসে। কিন্তু তার পরেও মামলায় গণধর্ষণের ধারা যোগ করতে পুলিশ দেরি করে বলে অভিযোগ ‘নির্যাতিতা’র পরিবারের। সব মিলিয়ে দেরির জন্যই অভিযুক্তেরা গা ঢাকা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যায় বলেই দাবি। যদিও জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানান, পুলিশের তরফে গাফিলতি ছিল না। প্রথমে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তবুও ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ চলছিল। তিনি বলেন, ‘‘এক জন অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। বাকিরাও শীঘ্রই ধরা পড়বে।’’ সূত্রের দাবি ঘটনায় পাঁচ জন জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
রবিবার থানা ঘেরাও করে অভিযুক্তদের আড়াল করার অভিযোগ তুলেছিল আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগনা মহল। সংগঠনের দক্ষিণ দিনাজপুরের নেতা অরুণ হাঁসদা দাবি করেন, ‘‘দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছিল। আর ঘুরিয়ে আমাদের সংগঠনকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছিল। বাকি অভিযুক্তদের পুলিশ দ্রুত খুঁজে বের করুক।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই বলেছি, অভিযুক্তেরা তৃণমূলের নয়। বরং, আমরা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। ধিক্কার সভাও করেছি এলাকায়।’’
পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘটনায় সুকুমারের জড়িত থাকার কিছু প্রাথমিক প্রমাণ মেলার পরে, গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করেই সোমবার দ্বিতীয় জনের সন্ধান মেলে বলে দাবি পুলিশ সূত্রের।