সমস্যা: একটি ঘরে দফতরের ১০জন। নিজস্ব চিত্র
দুটো ঘর। একটি অফিসারের জন্য, অন্যটি দফতরের বাকি ১০ জন কর্মীর জন্য। তবে কী নেই ওই দ্বিতীয় ঘরে! সংবাদপত্র, লিফলেট, ব্যানার, পোস্টার, ফ্লেক্স, কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ফটোকপি মেশিনে ঠাসা। তার মধ্যে কোনমতে ৮টি চেয়ার। ফলে, একসঙ্গে ১০জন অফিসে হাজির হলে সকলের বসার উপায়ও নেই। একজন উঠলে অন্যজন বসতে পারেন।
অবিশ্বাস্য হলেও প্রায় দু’বছর ধরে এমন ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’ প্রথায় চলছে শিলিগুড়ির মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি অফিসে। যদিও জেলা তথ্য দফতরের এক কর্তা জানান, অফিস সংস্কারের জন্য ৪৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আরও একটি ২০০ বর্গফুটের ঘর বরাদ্দ হয়েছে। শিলিগুড়ি শহরের কলেজপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে তথ্য সংস্কৃতি দফতরের একটি বড় অফিস ছিল। বছর দুয়েক আগে হিলকার্ট রোডে রাজ্য পর্যটন দফতরের অফিস ভবনের দোতলার একদিকে দু’টি ঘরে তা নিয়ে যাওয়া হয়। একটি ঘরে বসেন মুহকুমা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক মিতেন শেরপা। লোকশিল্পী কিংবা অন্য কাজের জন্য একযোগে ২ জনের বেশি গেলে বাইরে করিডরে অপেক্ষা করতে হয়।
নিয়মিত যে লোকশিল্পীরা সেখানে ভাতা নিতে যান, তাঁরা বহুবার নেতা-কর্তাদের কাছে বিষয়টি জানান। লোকশিল্পী নীরেন বর্মণ বলেন, ‘‘আমরা অফিসের লোকজনদের কতবার বলেছি, যে একটা বসার জন্য ব্যবস্থা করুন। বাথরুমের সংখ্যা বাড়ান। কিছুই হয় না। ভাতা নিয়ে গিয়ে সারাদিন লেগে যায়।’’ অফিসের কয়েকজন কর্মী জানান, তাঁদেরও দু’বছর ধরে ‘হচ্ছে-হবে’ শুনেই দিন কাটছে। শিলিগুড়ি মহকুমার তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ করছি। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
ওই ভবনেই বসেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘এমন সমস্যা হচ্ছে জানি না তো! দফতর থেকে জানালে নিশ্চয়ই কিছু করার চেষ্টা করব।’’ তথ্য দফতরের জেলা স্তরের এক অফিসার জানান, বিভাগীয় সচিব বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।