বিক্ষোভে নার্সরা। নিজস্ব চিত্র
করোনা পরিস্থিতিতে পরিষেবা দিলেও নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দিকটি দেখা হচ্ছে না বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দিনভর কর্মবিরতি করলেন নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। সোমবার সকাল থেকে মাটিগাড়া উপনগরীর একটি নার্সিংহোমে ওই ঘটনার জেরে দুর্ভোগে পড়লেন রোগীরাও। নার্সিংহোমের সামনে সকাল থেকে অবস্থান বিক্ষোভ করেন নার্সরা।
এর আগে নিজেদের নিরাপত্তা, পিপিই কিটের মতো সরঞ্জামের সরবরাহ নিয়ে সরকারি হাসপাতালের নার্সদের আন্দোলন দেখা গিয়েছে শিলিগুড়িতে। এ বার বেসরকারি হাসপাতালেও এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
সমস্যা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় আলোচনা হয়। পরে তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি আশ্বাস দেওয়া হলে দুপুরের পর অবস্থান তুলে নেওয়া হয়। নার্সিংহোমের তরফে কৌশিক হালদার বলেন, ‘‘নার্সিংহোমের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সব সময়েই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সমস্যা মিটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।’’
এ দিন দাবিগুলি নিয়ে কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেন নার্সিংয়ের কাজে যুক্ত কর্মীরা। এর আগেও দুই দফায় সমস্যার কথা তোলা হলেও কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেয়নি বলে সরব হন তাঁরা। অভিযোগ, করোনা রোগীদের পরিষেবা দিয়েও নির্দিষ্ট দিন অন্তর কোয়রান্টিনে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। তাঁদের লালা পরীক্ষা করা হচ্ছে না। এর ফলে বাড়ি ফেরার সময় তাঁরা পরিবারের কথা ভেবে চিন্তায় থাকছেন। এই পরিস্থিতিতে কাজের জন্য বাড়তি বেতনও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। অন্য সুযোগ সুবিধাও ঠিক মতো মিলছে না। এমনকী তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। এগুলির প্রতিকার চেয়ে তারা লিখিত ভাবে জানান। ঠিকমতো পিপিই কিট দেওয়া এবং কোয়রান্টিনে থাকার সময় বেতন কাটা যাবে না বলেও দাবি জানানো হয়।
এ দিন নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে আনা হয়েছিল নিয়ে আসা উমাশঙ্কর প্রসাদকে। আন্দোলনের জেরে রোগীকে ভর্তি করানো হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। রোগীর সঙ্গে আসা মহম্মদ সাজ্জাদ বলেন, ‘‘৯টার সময় নার্সিংহোমে কথা বলে গিয়েছি। সেই মতো রোগীকে নিয়ে এসেছি। রোগীর কিছু হলে দায় কি নার্সিংহোম নেবে।’’ এমন অনেককেই ফিরতে হয়েছে বলে অভিযোগ।