—ফাইল চিত্র।
গন্ডারের সংখ্যা বাড়ছে জলদাপাড়া ও গরুমারা জাতীয় উদ্যানে৷ অন্তত গন্ডার সুমারির প্রাথমিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে নিশ্চিত উত্তরবঙ্গের বন কর্তারা৷ এই ঘটনায় বন কর্তারা উচ্ছ্বসিত হলেও, কোনও কোনও মহলে বাড়ছে উদ্বেগও৷
উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া ও গরুমারায় এর আগে ২০১৫সালে গন্ডার সুমারি হয়েছিল৷ সেই সময় জলদাপাড়ায় ২০৭টি ও গরুমারাতে ৪৯টি গন্ডারের সন্ধান মেলে৷ চার বছর পর চলতি মাসে প্রথমে গরুমারা ও তারপর জলদাপাড়ায় ফের গন্ডার সুমারি হয়৷ বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরাসরি দেখার পাশাপাশি গন্ডার সুমারিতে এ বার প্রযুক্তিরও ব্যবহার করা হয়৷ সেইসঙ্গে গন্ডারে মল সংগ্রহ করে তা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেন বনকর্তারা৷ যে রিপোর্ট অবশ্য এখনও আসেনি৷ কিন্তু সুমারিতে যোগ দেওয়া বিভিন্ন দলের সদস্যদের চোখে দেখার উপর নির্ভর করে গন্ডারের সংখ্যা নিয়ে বেশ আশাবাদী বনকর্তারা৷ যদিও তাঁদের বেশি আশা জলদাপাড়াকে নিয়েই৷
উত্তরবঙ্গের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) উজ্জ্বল ঘোষ জানিয়েছেন, গন্ডার সংখ্যা সরাসরি গোনার পর যে প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে জলদাপাড়ায় গন্ডারের সংখ্যা ন্যূনতম ২৩১টি ও সর্বোচ্চ ২৩৭টি৷ গরুমারায় সর্বোচ্চ সংখ্যাটা ৫২তে দাঁড়াচ্ছে৷ তবে সেখানে ন্যূনতম সংখ্যা অবশ্য ৪৭টি বলা হচ্ছে৷
যদিও বনকর্তাদের ধারণা, ডিএনএ পরীক্ষা বা অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহারের রিপোর্ট এলেও দেখা যাবে গরুমারাতে গন্ডারের সংখ্যা ৫০ছাড়িয়েছে৷ তবে ডিএনএ-র রিপোর্ট আসতে অনেকটাই সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বনকর্তারা৷
গত চার বছরে জলদাপাড়া ও গরুমারাতে গন্ডার চোরাশিকারের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে৷ তারপরও সুমারির প্রাথমিক রিপোর্টে গন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধির খবরে রীতিমত খুশির হাওয়া বন দফতরের অন্দরে৷ তবে কোনও কোনও মহলে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে৷
ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “গন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি খুবই আনন্দের খবর৷ সেইসঙ্গে কিছুটা দুশ্চিন্তারও বটে৷ কারণ সমান্তরালভাবে জঙ্গলে বড় তৃণভোজী প্রাণীর সংখ্যা বাড়ছে৷ কিন্তু বাড়ছে না জঙ্গলের আয়োতন৷ এই অবস্থায় গন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি গন্ডারের সংরক্ষণে বন দফতরের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল৷ সেইসঙ্গে বন দফতরে কর্মীদের শূন্যপদ পূরণের প্রয়োজনীয়তাও আরও বেড়ে গেল৷”