বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি রোগী

তার পরেও ফের তপনের ভারিলা ও বালাপুর এলাকায় ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি, বালুরঘাটের ভাটপাড়া, খিদিরপুর চিঙ্গিশপুর এলাকায় গত তিনদিনে তিনজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৪৯
Share:

বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি আক্রান্তেরা। নিজস্ব চিত্র

নিয়ন্ত্রণের পরেও ফের ডেঙ্গি প্রকোপ বালুরঘাট এবং তপন ব্লকের একাধিক এলাকায়। পুজোর আগে তপনের মালঞ্চা অঞ্চলের ভারিলা ও বালাপুরে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সোমবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত আটজন বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে সুচিত্রা মহন্ত (৪৫) নামে ভারিলা এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্য ডেঙ্গিতে মারা যান বলে পরিবারের দাবি। সেই সময় বালুরঘাট থেকে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে ওই এলাকায় রোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি।

Advertisement

তার পরেও ফের তপনের ভারিলা ও বালাপুর এলাকায় ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি, বালুরঘাটের ভাটপাড়া, খিদিরপুর চিঙ্গিশপুর এলাকায় গত তিনদিনে তিনজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও অন্তত ১৬ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার থেকে বালুরঘাটের ভাটপাড়া অঞ্চলের ডাঙ্গি এলাকার বিউটি পাল, খিদিরপুরের দীপক দত্ত, চিঙ্গিশরপুরের সাত বছরের শিশু অপূর্ব মাহাতোর রক্ত পরীক্ষার পর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। সকলেই বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিতসাধীন। ওই এলাকায় অজানা জ্বরের প্রকোপ প্রথম দেখা যায় গত শনিবার। এরপর প্রায় প্রত্যেক ঘরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ দিন নতুন করে জ্বরে আক্রান্ত এক গৃহবধূ ও কয়েকজন বাসিন্দাকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

অন্যদিকে, তপনের ভারিলা এলাকার হিমানি বর্মণ, বালাপুরের সোনামনি হেমব্রম, সুজলা বর্মন-সহ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত আরও দু’জন বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই এলাকার পাহাড়পুর গ্রামেও ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে বাসিন্দারের দাবি। গ্রামবাসীরা জানান, অনেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আবার কারও চিকিৎসা বাড়িতেই চলছে। এখনও স্বাস্থ্য কর্মীদের দেখা মেলেনি বলে তাদের অভিযোগ।

Advertisement

জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, ‘‘এ মুহূর্তে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত আটজন রোগী বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রোগাক্রান্ত এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুজোর আগে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ হলেও বৃষ্টির জল জমে থাকা এবং পুজোর পর নোংরা আবর্জনা ঠিকমত সাফাই না হওয়ায় ফের ডেঙ্গি ঘুরে এসেছে।’’ তবে আক্রান্তেরা সকলেই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দাবি করেন। এ দিন বালুরঘাট হাসপাতালে ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্ত মহিলাদের এক শয্যায় একটি মশারির মধ্যে দু’জন করে রোগীকে রাখা হয়েছে। পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের বেহাল অবস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement