উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। ছবি সংগৃহীত।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। প্রস্তুতির মূল এবং প্রথম ধাপ হল বর্তমানে বিছিয়ে রাখা রেললাইনের বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি। সে কাজ শুরু হতে চলেছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অন্তর্গত রেল লাইনের গড় গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্বাভাবিক গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার। প্রথম ধাপে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লাইনের গতিবেগ ১১০ থেকে বাড়িয়ে ১৩০ কিলোমিটার করা হবে। রেল সূত্রের দাবি, মুম্বই সেন্ট্রাল-গুজরাত বা দিল্লি-বারাণসীতে যে বেগে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছোটে, তেমন বেগে উত্তর-পূর্ব ভারতে ওই ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে এই এলাকার লাইনে এই এক্সপ্রেসের গতি কিছুটা কমই হবে। তবে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চালাতে গেলেও, উত্তরের লাইনে গতিবৃদ্ধি প্রয়োজন। সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা ভোটের আগে, বেশ কয়েকটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে এ রাজ্য। যাকে বিজেপির ‘ভোট উপহার’ বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘লাইনের গতি বৃদ্ধির কাজ শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে গতি বাড়িয়ে ১৩০ কিলোমিটার করা হবে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের জন্যই গতি বাড়ছে এ ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে অদূর ভবিষ্যতে এই পরিকাঠামোতেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলতে পারে।’’ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দেশের অন্য প্রান্তের রেলের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের তুলনা করলে চলবে না। এখানকার মতো লাইনের উপরে এত সেতু আর কোথাও নেই। সেতুতে ট্রেনের গতি কমাতে হয়। তাই এই অঞ্চলে বন্দে ভারতের গতি দেশের অন্য প্রান্তের তুলনায় কিছু কমই হবে।’’
রেল সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী মার্চ থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলাচল শুরু হতে পারে নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) থেকে। যে দু’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের অনুমোদন মিলেছে সেগুলি হল এনজেপি-হাওড়া এবং এনজেপি-গুয়াহাটি। প্রাথমিক সময়সূচি এবং ‘স্টপ’ও ঠিক করেছে রেল। এনজেপি থেকে সকালে ছেড়ে গুয়াহাটি পৌঁছবে দুপুরে এবং গুয়াহাটি থেকে বিকেলের আগে ছেড়ে এনজেপি পৌঁছবে রাতে। একই ভাবে এনজেপি-হাওড়া ট্রেনের সময়সূচিও করা হয়েছে। তবে ওই সময়ে শতাব্দী এক্সপ্রেসও ছাড়ে। রেলের একটি সূত্রের দাবি, বন্দে ভারত চলাচল শুরু হলে শতাব্দী এক্সপ্রেস তুলে নেওয়া হতে পারে। এনজেপি-হাওড়া বন্দে ভারতের ‘স্টপ’ হতে পারে মালদহ এবং বর্ধমানে। অন্য দিকে, এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারতের গন্তব্যের মাঝেও দু’টি স্টপ থাকতে পারে। রেলের দাবি, বন্দে ভারতের মতো ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ এবং চালানোর পরিকাঠামোর অধিকাংশই এনজেপি এবং গুয়াহাটি স্টেশনের রয়েছে।