বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। — ফাইল চিত্র।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সম্ভাব্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পথে গতিবৃদ্ধির কাজ চলছে। রেল সূত্রের খবর, সে কাজের ৯০ শতাংশ হয়েছে। দ্রুত গতিতে ইঞ্জিন, রেক চালিয়ে লাইনের শক্তি পরীক্ষাও করা হবে। সব ঠিক থাকলে, আর একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে উত্তরবঙ্গ।
রেল সূত্রের খবর, নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত চলাচলকারী প্রস্তাবিত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাকা যাতে দ্রুত গড়াতে পারে, সে জন্য শুরু হয়েছে রেলের প্রস্তুতি। এই বন্দে ভারতের বিশেষত্ব— এটি রেলের একটি জ়োনের মধ্যে থাকা দু’টি স্টেশনে চলবে। দুই প্রান্তিক স্টেশন এবং মধ্যবর্তী চলাচলের পথ সবই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আওতায়। রেলের প্রাথমিক স্তরে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, এনজেপি এবং গুয়াহাটি ছাড়া, তিনটি স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থামবে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘এনজেপি-গুয়াহাটি লাইনে গতি বাড়ানোর কাজ চলছে। এই ট্রেন বর্তমান পরিকাঠামোতেই চালানো যাবে।’’ কবে থেকে চলবে ট্রেন, সে ঘোষণা রেল বোর্ডের তরফেই হবে। তার আগে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে কিছু পরিকাঠামোর কাজ দ্রুত সারতে বলা হয়েছে।
এনজেপি স্টেশনে ইতিমধ্যে হাওড়া থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যাতায়াত করছে। গুয়াহাটি স্টেশনের একটি প্ল্যাটফর্মকে বন্দে ভারত দাঁড়ানোর উপযোগী করা হয়েছে। প্রতি ভোরে গুয়াহাটি থেকে বন্দে ভারত ছেড়ে দুপুরে এনজেপি পৌঁছবে। এনজেপি থেকে ফের ছাড়বে বিকেলে। একটি সূত্রের দাবি, হাওড়া থেকে ছাড়া বন্দে ভারত এনজেপি পৌঁছনোর পরে, গুয়াহাটিগামী বন্দে ভারত এনজেপি থেকে ছাড়বে। তার ফলে, কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ কিংবা মালদহ থেকে বন্দে ভারতে আসা যাত্রীরা সে দিনই ফের এনজেপি থেকে এই ট্রেনে গুয়াহাটি যেতে পারবেন।
এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারতের বঙ্গাইগাঁও, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি রোডে স্টপ ঠিক হয়েছে। আলিপুরদুয়ারেও থামতে পারে নতুন বন্দে ভারত। সাম্প্রতিক উত্তরবঙ্গ সফরের সময় বাগডোগরায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়-সহ বিজেপি প্রতিনিধিরা। তখন নতুন বন্দে ভারতের দাবি-সহ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামীর দাবি, ‘‘রেলমন্ত্রী দিল্লিতে জলপাগুড়ির সাংসদকে ডেকে বৈঠক করেন। বন্দে ভারত-সহ বেশ কিছু ট্রেনের আশ্বাস দেন।’’
অন্য দিকে, এ বিষয়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়ের কটাক্ষ, ‘‘লোকসভা ভোট আসছেবলেই বিজেপি এখন সরকারি মন্ত্রকগুলোকে কাজে লাগিয়ে ভোটের প্রচার করছে।’’