ঘন কুয়াশায় ঢাকা রাস্তা। শহর শিলিগুড়িতে। ছবি: স্বরূপ সরকার
পাহাড়ে ঝঞ্ঝার দাপট কাটতে শুরু করল। তার জন্য আগামী অন্তত চার-পাঁচ দিন আবহাওয়া মনোরম থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। একই রকমের প্রভাব থাকবে পাদদেশের এলাকাগুলিতেও। তবে সমতলের বাকি এলাকা এবং গৌড়বঙ্গে আগামী আরও কয়েক দিন তাপমাত্রার ওঠাপড়া এবং হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দাপট থাকবে বলে আবহাওয়া আধিকারিকেরা জানান। আগামী ১২ জানুয়ারির পর থেকে ফের পাহাড়ে সক্রিয় হবে ঝঞ্ঝা।
পাহাড়ের পাদদেশ সংলগ্ন শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির কিছু অংশ এবং আলিপুরদুয়ারের কিছু অংশে পাহাড়ের মতো রোদ মিলবে আগামী কয়েকদিন। কিন্তু তার সঙ্গেই তাপমাত্রার ওঠাপড়াও থাকবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁদের দাবি, ওই এলাকাগুলি ছাড়াও দার্জিলিং জেলার সমতল এবং গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিন কুয়াশাও থাকবে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘আগামী কয়েক দিন ঝঞ্ঝা নেই। কিন্তু উত্তর-পশ্চিম ভারতের শৈত্যপ্রবাহের পরোক্ষ প্রভাব কয়েকটি জেলায় থাকবে। কুয়াশা ধীরে ধীরে কমবে।’’ গত ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ে তুষারপাত হয়নি বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। আধিকারিকেরা জানান, আগামী ১২ জানুয়ারির পর থেকে ফের পাহাড়ে সক্রিয় হবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তার প্রভাবে পাহাড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এমনকি, তুষারপাতেরও ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর-পশ্চিম ভারতে শৈত্য প্রবাহের জেরে দার্জিলিং জেলার কিছু অংশ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের মতো এলাকায় কুয়াশা এবং শিরশিরে বাতাসের দাপট বজায় রয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন এই এলাকাগুলিতে শীতল দিন দেখা যেতে পারে। আবহাওয়ার পরিভাষায়, দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ডিগ্রি কম এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে থাকলে ওই এলাকায় সেই দিনকে শীতল দিন বলা যায়। তার সঙ্গেই কুয়াশাও থাকবে আরও কয়েক দিন। তবে দুপুরে রোদ উঠলেই তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে থাকবে। কিন্তু এর পাশাপাশি বিকেলের পর থেকে আবারও কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি তৈরি হবে। ঠিকই একই ধরনের পরিস্থিতি ভোর এবং সকালেও থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের কর্তারা।