ফাইল চিত্র।
ডেপুটেশনে কর্মরত চিকিৎসক-অধ্যাপকদের সামিল করিয়ে ঘাটতি অনেকটাই মেটাতে সমর্থ হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দলের দু’দিন ব্যাপী পরিদর্শন শেষ হল বৃহস্পতিবার। তাতেই তাঁদের দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে স্বাস্থ্য দফতর জেনেছে, সহকারী এবং সহযোগী অধ্যাপকদের ঘাটতি রয়েছে ৬ শতাংশের মতো এবং সিনিয়র রেসিডেন্সিয়াল চিকিৎসকদের ঘাটতি রয়েছে ৪ শতাংশেরও কম। গত বছরের শেষ পরিদর্শনেই দেখা গিয়েছিল এই ঘাটতি সিনিয়র রেসিডেন্সিয়াল চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে ২৩ শতাংশ ও সহকারী এবং সহযোগী অধ্যাপকদের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশেরও বেশি।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায় অবশ্য এখনই এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘খাম-বন্দি রিপোর্ট এমসিআই বৈঠকের আগে খোলা যাবে না। তবে এ বার ঘাটতি তেমন কিছু ছিল না’’ এ বার পরিদর্শনে চিকিৎসক অধ্যাপকদের ঘাটতি থাকবে না বলেই মনে করছেন কর্তৃপক্ষের একাংশও। এমসিআই দলের ১৯-২১ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে স্বাস্থ্য ভবন থেকে আগাম জানানো হয়েছিল। সেই মতো চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করে ওই সময় হাসপাতালে থাকতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করে এমসিআই টিম আসছে না দেখে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ-সহ অন্য কিছু হাসপাতালে ডেপুটেশনে যাওয়া চিকিৎসকদের একাংশ ফিরে যান। বুধবার এমসিআই ঢুকতেই তাঁদেরও তলব করা হয়েছিল। মালদহ মেডিক্যালে ডেপুটেশনে কাজ করা অর্থোপেডিকের দুই চিকিৎসক ওই দিন অনেক দেরিতে ফিরে আসায় তাঁদের উপস্থিতি গ্রহণ করা হয়নি।
লেবার ওয়ার্ডের অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি-সহ ২৫০ জনের বসার উপযুক্ত পরীক্ষা করার হল ঘর না থাকা, ইন্টারকম ব্যবস্থা না থাকার মতো পরিকাঠামোর বেশ কিছু ঘাটতি শেষ পরিদর্শনে জানিয়েছিল এমসিআই। এ বার অনেকটাই ঘাটতি পূরণ করা গেলেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা নিয়ে উদ্বেগ এখনই যাচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষের একাংশ মনে করছেন।