উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গোপালকৃষ্ণ ঢালি। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে হস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা হস্টেল নেই এবং গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে এসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’’ (ওএসডি) গোপালকৃষ্ণ ঢালি।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরে র্যাগিং প্রতিরোধে নজরদারি ও নিরাপত্তার দাবি উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের পরিস্থিতি নিয়েও। মূলত সেই কারণেই কলেজের পড়াশোনা এবং পড়ুয়াদের সমস্যার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতেই স্বাস্থ্য দফতরের ওএসডি-র এই পরিদর্শন বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেন তিনি। তিনটি মেডিক্যাল কলেজ ঘুরে দেখছেন ওএসডি। এ দিন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আসেন তিনি। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। হস্টেল দেখেন। পড়ুয়ারা তাঁদের সমস্যার কথা জানান। জানা যায়, একই ঘরে পাঁচ-ছ’জন করে থাকতে হচ্ছে। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষকে নতুন হস্টেলের প্রস্তাব পাঠাতে বলেন ওএসডি। হস্টেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশও দেন।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, ‘‘ওএসডি হস্টেল, লেকচার থিয়েটারের পরিকাঠামো বাড়ানোর কথা বলেছেন। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা হস্টেলের প্রস্তাব পাঠাতে বলেছেন।’’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লক চালু করতে দেরি হচ্ছে কেন, তা জানতে চান ওএসডি। জানানো হয়, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পরিকাঠামোর কাজে কিছু সমস্যা নজরে এসেছে।
এ দিন হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের পরিষেবা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন গোপালকৃষ্ণ। বিভিন্ন বিভাগে সিনিয়র রেসিডেন্সিয়াল কম থাকার বিষয়টি জানতে চান। আগে আরএমও কাম ক্লিনিক্যাল টিউটররা কাজ করতেন। ওই পদ উঠে গিয়েছে। এখন সে জায়গায় সিনিয়র রেসিডেন্টরা কাজ করবেন। অনেক বিভাগে সিনিয়র রেসিডেন্সিয়াল মেডিক্যাল অফিসার নেই। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিনিয়র রেসিডেন্ট নিয়োগ করা হচ্ছে। হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানান, সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বাড়ানোর কথা বলেছেন ওএসডি। মানসিক রোগ, সার্জারির বিভাগে শয্যা বাড়ানোর কথাও বলেন ওএসডি।