শৌচাগারের জন্য বিয়ে ভাঙে মন্ত্রীর

নিজের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার গল্প শুনিয়ে বাসিন্দাদের শৌচাগার তৈরির পরামর্শ দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রবিবার কোচবিহার শহরের রবীন্দ্রভবনে নির্মল গ্রামের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলার সমস্ত জায়গা থেকে জনপ্রতিনিধিরা যোগ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ০২:১৪
Share:

নিজের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার গল্প শুনিয়ে বাসিন্দাদের শৌচাগার তৈরির পরামর্শ দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রবিবার কোচবিহার শহরের রবীন্দ্রভবনে নির্মল গ্রামের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলার সমস্ত জায়গা থেকে জনপ্রতিনিধিরা যোগ দেন। সেখানেই মন্ত্রী বাড়িতে বিজ্ঞানসম্মত শৌচাগার রাখার পক্ষে প্রচার করতে গিয়ে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “১৯৭৭ সালের ঘটনা। সেই সময় আমার বিয়ে ঠিক হওয়ার তোড়জোড় ছলছে। এক রকম বিয়ে প্রায় ঠিকই হয়ে গিয়েছে। মেয়ের বাড়ি থেকে তাঁর ঠাকুমা ও আত্মীয়রা আমাদের বাড়িতে এসেছেন সব দেখতে। সেই সময় বাড়িতে ছিল খাটা পায়খানা। তা দেখে বিয়েতে অসম্মতি জানান তাঁরা।” এর পরেই তাঁর আবেদন, প্রত্যেকের বাড়িতে একটি নয়, দু’টি করে শৌচাগার থাকা প্রয়োজন।

Advertisement

ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। তিনিও জানান, খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করলে বাসিন্দাদের পক্ষে ক্ষতিকর। এ দিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনহাটা-২ নম্বর ব্লক এবং আরও ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্মল ঘোষণা করা হয়। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে রয়েছে সিতাই-২, আদাবাড়ি, নিশিগঞ্জ, লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েত। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন জানান, গোটা জেলাকে নির্মল করার লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা এগোচ্ছেন। এটা তার প্রথম ধাপ। তিনি বলেন, “যে ভাবে সবাই মিলে কাজ শুরু করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে খুব শীঘ্র আমরা গোটা জেলাকে নির্মল করতে পারব।” জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মেখলিগঞ্জে বিডিও বিরূপাক্ষ মৈত্র ফুল হাতে ভোরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাতে একটা সুফল আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এ বার গ্রামাঞ্চলের একাধিক পুজো কমিটি তাঁদের প্রধান থিম রেখেছে নির্মল গ্রাম। নাজিরহাট-২ পঞ্চায়েতের শালমারা বাজারেই তাই। ওই জায়গার বাসিন্দা জেলা পরিষদের সদস্য তরণী বর্মন দীর্ঘ দিন ধরে নির্মল গ্রামের লক্ষ্যে প্রচার করছেন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম সাফল্য আসে। তিনি বলেন, “এলাকার পুজোতেও বিষয়টি রক্ষা হয়েছে। আলো সহ নানা ভাবে প্রচার করা হবে। নানা জায়গা থেকে মানুষ পুজোতে আসেন। তাতে অনেকটা কাজ হবে।” সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া জানান, আদাবাড়ি এলাকায় পাঁচটি দুর্গা পুজো হয়। সব জায়গায় নির্মল গ্রাম নিয়ে প্রচার থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement