কালিয়াচকের যানজটের কথা বহু শুনেছি। কিন্তু কোনওদিন এখানে যানজটে আটকানোর অভিজ্ঞতা হয়নি। ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীদের কী চরম অসুবিধায় পড়তে হয় তা নিজেই দেখলাম।’’
৩৫ কিমি রাস্তা দু’ঘণ্টায় পেরিয়ে এই উপলব্ধি খোদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। শনিবার সকালে তিনি যখন বীরনগরে ভাঙন পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন তখনই তিনি সুজাপুর থেকে জালালপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তায় দফায় দফায় যানজটের কবলে পড়েন। মন্ত্রীর গাড়ির সামনে পাইলট কারের পাশাপাশি খোদ জেলাশাসকেরও গাড়ি ছিল। বিরক্ত মন্ত্রী একসময় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকেও ফোন করে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বিকেলে তিনি জেলার পুলিশ সুপারকেও সার্কিট হাউসে ডেকে পাঠান। পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘সুজাপুর-জালালপুর পর্যন্ত রাস্তা এখনও ফোরলেন হয়নি। এ দিন ওই এলাকার রাস্তায় একটি ট্রাক ও একটি বাস বিকল হয়ে পড়ে। এর জেরেই যানজট বাধে।’’
কালিয়াচকের যানজটের সমস্যা নতুন নয়। তবে জাতীয় সড়কে ফোর লেনের কাজ শুরুর পর দুর্ভোগ আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকছে। এ দিনও সুজাপুর থেকে গাড়ির লাইন জালালপুর পর্যন্ত চলে যায়। দুপুরের দিকে কালিয়াচক চৌরঙ্গী এলাকাতেও যানজট বাধে। এ বারের বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের কর্তারাও যানজটে ফেঁসে প্রশাসনিক মহলে হইচই বাধান। তখন জেলার পুলিশ-প্রশাসনই দ্রুত পদক্ষেপ করে এলাকা যানজট মুক্ত করেছিল। কিন্তু তার পর কিছুদিন ঠিকঠাক চললেও আবার তথৈবচ অবস্থা। রবিবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ সুপারকে বলেছি যে কোনও ভাবে এই যানজট সমস্যা মেটাতে হবে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ফোরলেনের কাজ যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সে ব্যাপারেও জেলা প্রশাসনকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।’’ জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী বলেন, ‘‘কাজ দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছি।’’