টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক নেতা দিব্যেন্দু সমাজদারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক (ডিআই) সুনীতি সাঁপুই। বালুরঘাট থানায় আইসি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ওই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে জোর করে অফিসে ঢুকে (৪৪৮ধারা) ধাক্কাধাক্কি (১৮৬ধারা) এবং সরকারি কাজে বাধা (৩৫৩ ধারা) দেওয়ার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী অনুগামী দিব্যেন্দুবাবু এ দিন নিজেকে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘ডিআই অফিসে কোনও ধাক্কাধাক্কি এবং কাজে বাধা দেওয়া হয়নি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমার এখানে পাইয়ে দেওয়ার কিছু ছিল না। এসআইয়েরা যে ভ্যাকান্সি তালিকা পাঠিয়েছিলেন, সেই অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থীরা সেই তালিকা দেখে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাদের স্কুল পোস্টিং বেছে নেবেন, এই দাবি ডিআইয়ের কাছে করা হয়েছিল।’’
এ দিকে পুরনো প্রাথমিক শিক্ষকদের দূরবর্তী স্কুল থেকে কাছের স্কুলে বদলি না করে নব নিযুক্ত শিক্ষকদের বাড়ির কাছে পোস্টিং দেওয়ার প্রতিবাদে এ দিন বিকেলে ডিআইকে ঘেরাও করে অরাজনৈতিক ব্যানারে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকেরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের বক্তব্য, ১০-১৫ বছর ধরে যাঁরা জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি থেকে অনেক দূরে চাকরি করছেন, তাঁদের কাছের স্কুলে বদলির জন্য সংশ্লিষ্ট এসআই অফিসে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বদলির আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। ওই সমস্ত শিক্ষকদের বদলি না করে নবনিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে বাড়ির কাছে পোস্টিং দেওয়ার ফলে কর্মরত শিক্ষকদের ওই বদলির সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। ডিআই সুনীতিবাবু বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু করার নেই।
জেলায় প্রথম দফায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৫১ জন টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবার শুরু করেও শেষ করা যায়নি। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাকি শতাধিক প্রার্থীর কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়।