প্রতীকী ছবি।
১৯ মে পর্যন্ত কালিম্পঙে বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ডেকে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ, বুধবার পাহাড়ের আরও তিনটি পুরসভার সঙ্গে কালিম্পং পুরসভারও ভোট গণনা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সহযোগিতাও চেয়েছে প্রশাসন।
ভোট গণনা কেন্দ্রের কাছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য সমর্থকরা জড়ো হবেন। ফলাফল নিয়ে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অপেক্ষার জন্য পৃথক জায়গার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গণনা উত্তর পরিস্থিতি মোকাবিলায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হচ্ছে পুলিশ পিকেট।
কালিম্পং পুর নির্বাচনের দায়িত্ব থাকা রিটার্নিং অফিসার, মহকুমাশাসক নির্মাল্য ঘরামি বলেন, ‘‘বুধবার গণনার পর থেকে ১৯ মে পর্যন্ত কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে এ দিন তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০ মে সরকারি চাকরির পরীক্ষা রয়েছে। সে কারণে ওই দিনও যাতে বিজয় মিছিল না করা হয় সে জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করতে চাইলে ২১ মে তা করা যেতে পারে।’’
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গণনা কেন্দ্র থেকে গুম্ফার দিকে যাওয়ার রাস্তায় দাঁড়াবেন মোর্চার নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের জন্য দাঁড়ানোর জায়গা হয়েছে ট্রেজারি ভবনের কাছে। জন আন্দোলন পার্টির নেতা কর্মীদের দাঁড়ানোর জায়গা বন দফতরের অফিসের দিকে।
তৃণমূলের কালিম্পং জেলা সভাপতি সতীশ থিং জানান, তাঁরাও চান শান্তিতে গণনা পর্ব মিটুক। মোর্চা এবং জাপের পক্ষ থেকেও প্রশাসনের সঙ্গে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের এই পুরসভা কোন দলের হাতে যাবে তা নিয়ে পাহাড় জুড়েই কৌতূহল রয়েছে। ভোটবাক্স খোলার পরেই সেই কৌতূহলের অবসান হবে।