police

Police: পুলিশের উপরে হামলায় ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার শূন্য

শতাধিক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।

Advertisement

নীহার বিশ্বাস 

বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২১ ০৬:২৪
Share:

পুলিশকর্মীদের মারধর। সোমবার বংশীহারিতে। ফাইল চিত্র।

পুলিশকর্মীদের মারধর ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল। শতাধিক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।

Advertisement

গত সোমবার সকালে বংশীহারির বাগদুয়ারের টেপরিদহ এলাকায় এক মাছ ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে সালিশি সভা হচ্ছিল। সেই সভা থেকে ওই মাছ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করতে যান বংশীহারি থানার আইসি মনোজিৎ সরকার। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করার সময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আইসি। অভিযোগ, সেই সময় শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরে লাঠিচার্জ করা হয়। তার পরেই স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, আইসি-সহ ছ’জন পুলিশকর্মীকে মারধর করা হয়। যা নিয়ে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

কিন্তু কেন হঠাৎ পুলিশের উপরে আক্রমণ নেমে এল? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মাছ ব্যবসায়ীর পক্ষ নিয়ে পুলিশ ‘অহেতুক’ লাঠিচার্জ করে। যদিও পুলিশের দাবি, লাঠিচার্জ করা হয়নি। শুধু জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। এই ঘটনার পরে অবশ্য এলাকায় পুলিশের কোনও ক্যাম্পও বসানো হয়নি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় বাসিন্দাদের ‘সেন্টিমেন্টের’ কথা ভেবে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়নি। আদিবাসী আন্দোলন মাথা চাড়া দিতে পারে ভেবেই আপাতত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে তাই পুলিশ তৎপরতাও দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ ও প্রশ্ন উঠেছে।

গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপ দাস বলেন, ‘‘অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কেন এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement