কোচবিহারের মেলা। নিজস্ব চিত্র।
ঐতিহ্যবাহী রাস মেলা বন্ধ রেখে কোচবিহারের এমজেএন স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল শিল্প মেলা। কিন্তু সেই মেলাতে তেমন ভাবে খুঁজে পাওয়া গেল না হস্তশিল্পের দ্রব্য। পুরসভা এবং জেলা প্রশাসন ঘোষণা করেছিল, এই মেলার মূল উদ্দেশ্য কোচবিহার জেলায় যে সমস্ত হস্তশিল্প রয়েছে এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে তাঁদের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করা। কিন্তু দর্শকদের একাংশের অভিযোগ, এই মেলায় হস্তশিল্প সম্ভারের আয়োজন তেমন নেই। কিন্তু খেলনার দোকান থেকে শুরু করে খাবারের দোকান রয়েছে যথেষ্ট। সে জন্যই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
কোচবিহার পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথমে কোচবিহার ক্লাবের সামনের মাঠে এবং টাউন হাই স্কুলের মাঠে পৃথক দু’টি মেলার আয়োজন করার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু করোনা অতিমারির কথা ভেবে পরিবর্তন করে কোচবিহার এমজেএন স্টেডিয়ামে একটি মেলা করার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা এবং জেলা প্রশাসন। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে শিল্প মেলার আয়োজন, তা চাপা পড়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র কয়েকটি স্টল তৈরি করা হয়েছে সেখানে গোটা তিনেক স্টলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে। মেলার বাকি অংশ জুড়ে রয়েছে খাবার, জামাকাপড়, খেলনা-সহ বিভিন্ন রকমের দোকান।
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ কোচবিহার পুরসভার পৌর প্রশাসক ভূষণ সিংহ। তিনি বলেছেন, ‘‘শিল্পমেলায় শিল্প নেই এটা ভুল কথা। মেলায় যে সমস্ত দোকান রয়েছে সবই ছোটখাটো শিল্প। জিলাপিও একটি শিল্প। চপও একটি শিল্প। এ গুলি ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পড়ে। বড় শিল্প এখানে আনা সম্ভব নয়।’’
হস্তশিল্পের না থাকা ছাড়াও করোনা সচেতনার অভাবও স্পষ্ট এই মেলায়, অভিযোগ দর্শকদের একাংশের। মেলায় আগতদের মুখে মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক হলেও দেখা যাচ্ছে, অনেকই মাস্ক না পরেই ঘুরছেন মেলাতে। প্রতিটি প্রবেশ পথে নেই স্যানিটাইজারও। ফলে মেলা থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও দেখছেন কেউ কেউ।