ধন্দ: কাল থেকে কি খুলবে মন্দির, জানা যেতে পারে আজ। নিজস্ব চিত্র
আগামিকাল, সোমবার থেকে কোচবিহারের শতাব্দীপ্রাচীন মদনমোহন মন্দিরের দরজা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হবে কিনা, তা নিয়ে শনিবারও কোনও সিদ্ধান্ত হল না।
দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রেই জানা গিয়েছিল, এ দিন মন্দির খোলার ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত আলোচনা হয়নি। তবে খুব দ্রুত বোর্ডের সদস্য ও পুরোহিতদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। রবিবারের মধ্যেই ওই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলেই আশা করছে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। বোর্ডের সভাপতি তথা কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “বোর্ড সদস্য, পুরোহিতদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
দেবোত্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, লকডাউন পর্বে শুরুতে মন্দিরের দরজা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা রাখা হয়। পরে অবশ্য ভক্তদের প্রবেশ বন্ধ করা হয়। ফলে নববর্ষের দিনও ভক্তদের বাইরে থেকে প্রণাম সেরে ফিরতে হয়। কাটছাঁট করা হয় ফুলদোল, সাগরদিঘিতে মদনমোহনের নৌকাবিহারের মতো অনুষ্ঠান।
সোমবার থেকে মন্দির খোলা নিয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর উৎসাহী ভক্তদের অনেকেই মদনমোহন মন্দির নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন। দেবোত্তরের এক কর্মী জানান, নিয়ম মেনে নিত্যপুজো হচ্ছে। নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ করা হবে।
জলপাইগুড়ির জল্পেশ মন্দির অবশ্য খুলে দেওয়া হবে ১ জুন থেকে। মন্দির কমিটি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব জানান, সরকারি নির্দেশ মেনেই স্যানিটাইজ করেই মন্দিরে ভক্তদের পুজো দিতে পাঠানো হবে। খোলা হচ্ছে জটিলেশ্বর মন্দিরও। ওই মন্দিরের পুরোহিত উমেশ মিশ্র জানান, মন্দিরে প্রতিদিনই পুজো হচ্ছে। তবে ভক্তদের ভিড় নেই। ১ জুন থেকে মন্দির সম্পূর্ণ খুলে দেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশ মেনে পুজো দিতে পারবেন ভক্তেরা।
কোচবিহারের দিনহাটার মহামায়া পাট মন্দিরও সোমবার থেকে খোলা হচ্ছে বলে জানান পরিচালন কমিটির সম্পাদক কালীপদ পাল। কোচবিহারের নতুন মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, ‘‘নমাজের সময় শুধুমাত্র মসজিদ খোলা হয়। সরাক্রি নির্দেশ মেনেই আমরা বরাবর চলেছি, সেটাই হবে।’’
আলিপুরদুয়ারের হাসিমারার গুরুদ্বারের দরজা অবশ্য সোমবার থেকে খোলার সম্ভাবনা কম রয়েছে। ওই গুরুদ্বার কমিটির সম্পাদক হরবংশ সিংহ বলেন, “ভক্তদের বড় অংশ ট্রাকচালক। দেশের নানা জায়গা থেকে তাঁরা আসেন। কার মধ্যে করোনা আছে আমরা জানি না। সেজন্য আপাতত গেট বন্ধ রাখার কথা ভাবছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমাদের গেট খোলার ইচ্ছে রয়েছে।” তবে গেটের ভেতর থেকে প্রসাদ ও খাবার বিলি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আলিপুরদুয়ার হাটখোলা দুর্গাবাড়িতে লোকনাথপুজো অনাড়ম্বর ভাবে করার কথা জানান মন্দির কমিটির সভাপতি রণজিৎ রায়।