নিরুপায়: বই গুটিয়ে কার্টনে ভরছেন ব্যবসায়ী। নিজস্ব চিত্র
সোমবার করোনা সংক্রমিত হলেন মালদহের জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ)। জেলায় ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ জন। ফলে নতুন বছরে জেলায় ৭০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। বিধি নিষেধের জেরে মালদহ বইমেলা স্থগিত হলেও পুষ্প প্রদর্শনী খোলা থাকায় পুলিশ, প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগ, বাস, দোকান-বাজারেও নজরদারি নেই। যদিও এ দিন সকাল থেকেই মাস্কহীনদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ।
বছর শেষেও মালদহে করোনার গ্রাফ ছিল নিম্নমুখী। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, জেলায় সংক্রমণ এক অঙ্কে নেমে গিয়েছিল। এখন ফের লাফিয়ে লাফিয়ে জেলায় সংক্রমণ বাড়ছে। উপসর্গ থাকায় রবিবার লালারসের নমুনা দেন সস্ত্রীক মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী। তাঁদের উপসর্গ থাকলেও তাঁরা এখন গৃহ-নিভৃতবাসে রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই করোনার টিকার দুটি ডোজ়ই নেওয়া আছে। বৈভব বলেন, “প্রশাসনিক ভবনে আমাদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের সবারই পরীক্ষা করা হবে।”
জেলাতে সংক্রমণের হার বৃদ্ধির কারণ নিয়ে বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদেরই দুষেছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, শহর জুড়ে একাধিক উৎসবে মাস্কহীনদের ভিড় উপচে পড়েছে। এ ছাড়া পর্যটন কেন্দ্র থেকেও বহু মানুষ ঘুরে এসেছেন। তাতেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে জেলায়। মালদহ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, “জেলায় এখন সংক্রমণের হার ১৪.২ শতাংশ। সচেতন না হলে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না। তবে আমরা প্রস্তুত।”
রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি হতেই বন্ধ হয় গৌড়, পান্ডুয়া এবং আদিনা ডিয়ার পার্ক। শহরে পুষ্প প্রদর্শনী থোলা থাকায় নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এ দিন থেকে বইমেলা শুরুর কথা থাকলেও আপাতত তা স্থগিত করা হয়েছে। বই মেলার উদ্বোধনের জন্য জেলায় হাজির হন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বইমেলা স্থগিতের পাশাপাশি রাজ্যের বিধি নিষেধের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। বিধি নিষেধগুলি মানা হচ্ছে কিনা তাও দেখতে হবে। মানুষকেও সচেতন হতে হবে। গঙ্গাসাগরের মেলায় ভিড় নিয়ে পূর্ণার্থীদেরও ভাবতে হবে।” পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “মাইকিং করে সচেতনতার পাশাপাশি মাস্ক বিলি হয়েছে। নিয়মভঙ্গকারী ১৯৫ জনকে ধরা হয়েছে।”