দাড়িভিট-কাণ্ডের তদন্তে এনআইএ। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট-কাণ্ডের তদন্তে জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শককে জিজ্ঞাসাবাদ করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ১৫ নভেম্বর জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক মুরারিমোহন মণ্ডলকে কলকাতার রাজারহাটে এনআইএ-র দফতরে টানা ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলা শিক্ষা দফতরের অন্দরে শোরগোল শুরু হয়েছে। এনআইএ তাঁকে কী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ও তিনি জবাবে কী কী তথ্য জানান, তা মুরারিমোহন জেলা প্রশাসন ও রাজ্য শিক্ষা দফতরকে জানান বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি বলেন, “সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করার এক্তিয়ার আমার নেই। তবে দাড়িভিট-কাণ্ডের সময়ে আমি উত্তর দিনাজপুরে ছিলাম না। এনআইএকে কী বলেছি, তা বাইরে বলা সম্ভব নয়।”
ওই দিন বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এনআইএর ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার আগে তাঁর মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। দাড়িভিট-কাণ্ডের সময়ে দাড়িভিট হাই স্কুলে বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষকদের অনুমোদিত পদের বিবরণ, এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ের শিক্ষকের পদে অনুমোদন, শিক্ষকের শূন্যপদ, শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ-সহ নানা বিষয়ে এনআইএ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে জানতে চায়। এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তিনি দাড়িভিট কাণ্ডের সময়ে উত্তর দিনাজপুরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন না, তা নিশ্চিত করতে তাঁর দফতরে দায়িত্ব নেওয়া ও বদলির তারিখ লেখা বোর্ডের ছবিও তিনি এনআইএকে দেন। দাড়িভিট-কাণ্ডে কে বা কারা পড়ুয়াদের উপরে গুলি চালায়, তা তিনি এনআইকে জানাতে পারেননি বলে প্রশাসনের অন্দরের খবর।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে দাড়িভিট হাই স্কুল। বাংলা মাধ্যমের শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে পড়ুয়া ও বাসিন্দাদের একাংশ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। আন্দোলন চলাকালীন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ, বোমা-গুলি চলে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণ নামের ওই স্কুলের প্রাক্তন দুই ছাত্রের। গত বছরের মে মাসে কলকাতা হাই কোর্ট ওই ঘটনায় এনআইএকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।