ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে চলতে গিয়ে ওড়িশার জাজপুরে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতে শর্ট সার্কিট হয়ে বিপত্তি বেধে ছিল গত সপ্তাহেই। পরে ট্রেনটিকে অন্য ইঞ্জিন দিয়ে টেনে নিয়ে যেতে হয়। আজ, সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের প্রথম বন্দে ভারতের উদ্বোধনী যাত্রা শুরু হচ্ছে। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ওড়িশার ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা এই রুটেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া, গত শনিবারও হাওড়া ছাড়ার পরে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত ট্রেনের সাসপেনশন খারাপ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দীর্ঘ সময় মাঝপথে অপেক্ষা করতে হয়। পর পর দু’দিনের এই বিপত্তি এবং তারও আগে হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারতের শুরুতে কামরায় ঢিল ছোড়ার ঘটনার দৃষ্টান্ত চিন্তায় রেখেছে রেলকে। যদিও এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারতের নিরাপত্তার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেই দাবি রেলের।
আজ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘের জেরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গত কয়েকদিন থেকেই বজ্রপাত হচ্ছিল। সোমবার অসমে এবং উত্তরবঙ্গে তা একটু কম থাকলেও, সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই জানান কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা। রেল সূত্রে খবর, কয়েকটি স্টেশনে বাড়তি ইঞ্জিন রাখা থাকছে। তবে বাজ পড়া বা সাসপেনশন খারাপ হওয়ারমতো ঘটনা ঘটলেও যাত্রীরা পুরোপুরি নিরাপদই থাকবে বলেই দাবি রেলের।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, এই রুটে ট্র্যাকের গতি ১১০ কিলোমিটার থাকলেও ট্রেনটি চালানোর গতিবেগ মোটামুটি ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটারের একটু বেশি থাকবে। রেলের আধিকারিকেরা জানান, এতে সাসপেনশন খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনই ট্রেনটি চালানোর মূল দায়িত্বে। ওই ডিভিশনের ডিআরএম দিলীপকুমার সিংহ বলেন, ‘‘ট্রেনটির আলাদা ইঞ্জিন নেই। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তো আগাম বলা যায় না। আমরা সব রকম ব্যবস্থাই নিচ্ছি।’’
এ দিকে ট্রেনে ঢিল ছোড়া রুখতে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরাও সচেতনতা প্রচারে নেমেছেন। রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় নিজের এলাকায় প্রচার করেন। ঢিল ছোড়া নিয়ে গত কয়েকদিন থেকেই নানা রকমের প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছিল রেল বোর্ড।