নতুন: দার্জিলিং হিমালয়ান রেলে টি স্টল। এনজেপি স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র।
করোনার পর নতুন মোড়কে চালু করা হয়েছে টয় ট্রেন পরিষেবা। ঐতিহ্যবাহী দার্জিলিং হিমালয়ান রেল (ডিএইচআর) কর্তৃপক্ষ এ বার পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ভাবমূর্তিরও প্রচার শুরু করেছেন। যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে নানা অভিনব পদক্ষেপ করা হচ্ছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলে। এই প্রচার কৌশলই নতুন করে পর্যটক টানতে পারবে বলে আশা রেলকর্তাদের। রেলের নতুন প্রচার এবং যাত্রী সম্ভাবনার কথা মাথায় রাখায় খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
দার্জিলিং বা উত্তরবঙ্গে বেড়াতে এসে পর্যটকদের টয় ট্রেনে চড়ার পাশাপাশি বাড়তি যেসব আকর্ষণ ছিল, সেগুলিকেই আরও একবার ঝালিয়ে নতুন করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এতদিন এনজেপিতে ডিএইচআর কর্নারে কেবল বেসরকারি সংস্থার চা বিক্রি হচ্ছিল। সেটিকে নতুন করে সাজিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল। রকমারি চা পাতা পছন্দমতো বাছাই করে সেখানেই চা পানের সুযোগ। ডিএইচআরের নতুন একটি প্রচারপত্র তৈরি করা হয়েছে। সুদৃশ্য সেই প্রচারপত্রও মিলবে ওখানেই । আরও একটি ঘরে কিছু স্মারক এবং টয় ট্রেনের মিনিয়েচার রাখার কথাও চলছে বলে জানান কর্তারা।
এ সবে জোর দিয়ে যাত্রী টানার চেষ্টায় রয়েছে রেল। এনজেপিতেই বড় করে ব্যানার টাঙানো হয়েছে, যা দূর থেকে চোখে পড়বে। ডিএইচআর অধিকর্তা এ কে মিশ্র বলেন, ‘‘আমরা নতুন করে টয় ট্রেনের আকর্ষণ বাড়াতে চাইছি। তার জন্য এনজেপির মতো দার্জিলিংয়েও একই রকমের প্রচারের কথা ভাবা হচ্ছে।’’ পাহাড়ে বেড়াতে আসা বেশিরভাগ পর্যটকের মাথায় টয় ট্রেন আর চায়ের টান থেকেই যায়। দু’টিকে এক করেই এ বার নতুন প্রচারে মন দিয়েছেন কর্তারা।
ছাড় দেওয়া হয়েছে চার্টার্ড পরিষেবাতেও। এনজেপি-দার্জিলিং রুটটিকে চাঙ্গা করে লাভজনক করে তুলতে যাত্রী পরিষেবায় বেশ কিছু ছাড় দেওয়ার পরামর্শ আগেই দিয়েছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু করোনার আগে চালু হওয়া রংটং জঙ্গল সাফারি বা এনজেপি দার্জিলিং রুটে সে-রকম কিছু তখন করা হয়নি।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীরাও পর্যটনের ক্ষেত্রে রেল পরিবারের অংশীদার। তাঁদের পরামর্শ গৃহীত হচ্ছে দেখে ভাল লাগছে।’’ চার্টার্ড পরিষেবায় কিছু রুটে আগের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে রেল।