—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নতুন বছরে নতুন উপহার। এ বার কোচবিহার থেকে সরাসরি দার্জিলিং যাওয়ার বাস চালু করবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি)। সে সঙ্গেই নতুন করে বছর দশেক পরে শিলিগুড়ি-রাঁচী বাস পরিষেবাও শুরু করা হবে। উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতাগামী পুরনো বাস বদলে নতুন বাস দেওয়া হবে। এ ছাড়া, ডুয়ার্স উৎসব ও বইমেলার জন্য অতিরিক্ত বাস পরিষেবাও দেবে নিগম। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কথা জানান উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, ‘‘নতুন বছরে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের নতুন কিছু উপহার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে মতোই বেশ কিছু রুটে নতুন করে বাস চলাচল আমরা শুরু করছি। সে সঙ্গে এ বার কোচবিহার থেকে সরাসরি দার্জিলিং পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালু করা হবে। ২৭ আসনের ওই বাস সপ্তাহে তিন দিন চলাচল করবে।’’
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙে যাওয়ার একাধিক বাস রয়েছে নিগমের। এত দিন কোচবিহারের কাউকে নিগমের বাসে দার্জিলিংয়ে যেতে হলে, শিলিগুড়িতে গিয়ে বাস ধরতে হত। তা নিয়ে আক্ষেপ ছিল কোচবিহারের বাসিন্দাদের। এ বার সে আক্ষেপ মিটতে চলছে। প্ৰত্যেক বছর জেলার বহু মানুষ দার্জিলিংযে ঘুরতে যান। কোচবিহারের বাসিন্দা বিল্লোল সরকার বলেন, ‘‘দার্জিলিংয়ে যাওয়ার জন্য কোচবিহার থেকে সরাসরি একটি সরকারি বাসের প্রয়োজন ছিল। ওই পরিষেবা চালু হওয়ায় খুব খুশি হয়েছি।’’ সেই সঙ্গে শিলিগুড়ি থেকে রাঁচী যাওয়ার জন্য তিনটি নতুন বাস বরাদ্দ করেছে নিগম। নতুন বছরের শুরু থেকেই ওই বাস পরিষেবা চালু করা হয়। ৫৫ সিটের নিগমের বাস প্রতিদিন ওই রুটে চলাচল করবে। দশ বছর ধরে ওই রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তা নিয়ে ক্ষোভও ছিল যাত্রীদের মধ্যে।
পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে কলকাতা পর্যন্ত যে বাস চলাচল করছে, তা বদলে দেওয়া হবে। পুরনো গাড়ির জায়গায় নতুন গাড়ি ওই রুটে চলাচল করবে। সে ক্ষেত্রে কিছু রকেট সার্ভিস যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস পরিষেবা। পুরনো বাসগুলিকে কম দূরত্বের যাতায়াতে চালানো হবে।
নিগমের চেয়ারম্যান জানান, ৪৩টি নতুন বাস এসেছে নিগমের হাতে। পাশাপাশি, আরও ৩০টি সিএনজি বাসও শীঘ্রই নিগমের হাতে পৌঁছবে। সেগুলিকেও রাস্তায় নামানো হবে। ময়নাগুড়ি থেকে ধাপরা পর্যন্ত একটি বাস পরিষেবা চালু করা হবে। ওই রুটে বাস পরিষেবা করোনার সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি আরও জানান, আলিপুরদুয়ারের ডুয়ার্স উৎসব, ফালাকাটার বইমেলা এবং কোচবিহারের বইমেলার কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত বাস পরিষেবা চালানোর কথা ভাবা হয়েছে। সে সঙ্গে রাতে বাস পরিষেবা দেওয়ার সময়ও খানিকটা বাড়ানোর কথা ভাবা হয়েছে।