আসন ভরাতে দেদার ছাড় বাসে

এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ যখন বাস ভরাতে ছাড় দিচ্ছেন, তখন কিন্তু উল্টো ছবি ধরা পড়েছে একই রুটের বেসরকারি বাতানুকূল বাসের ক্ষেত্রে।

Advertisement

শুভঙ্কর চক্রবর্তী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৬
Share:

প্রতি টিকিটে ৩০-৪০ শতাংশ হারেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন নিগমের এক পদস্থ আধিকারিক

বেসরকারি বাসের তুলনায় ভাড়া অনেকটাই কম। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দাবি তারপরও পাওয়া যাচ্ছে না যাত্রী। তাই আসন ভরাতে শিলিগুড়ি-কলকাতা বাতানুকূল বাসের ভাড়ায় দেদার ছাড় দিচ্ছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি)। কোনও কোনও দিন প্রতি টিকিটে ৩০-৪০ শতাংশ হারেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন নিগমের এক পদস্থ আধিকারিক।

Advertisement

অথচ এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ যখন বাস ভরাতে ছাড় দিচ্ছেন, তখন কিন্তু উল্টো ছবি ধরা পড়েছে একই রুটের বেসরকারি বাতানুকূল বাসের ক্ষেত্রে। শিলিগুড়ি-কলকাতা রুটে প্রতিদিন এক ডজনেরও বেশি বেসরকারি বাতানুকূল বাস চলাচল করে। সেই সব বাস মালিক বা সংস্থাগুলির একাংশের দাবি, তাঁদের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই সব আসন ভর্তিই থাকছে। বেসরকারি বাস ভর্তি হলেও কেন খালি যাচ্ছে এনবিএসটিসির বাস? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংস্থার কর্মীদের মধ্যেই। সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবকেই দায়ি করেছেন যাত্রীদের একাংশ।

নিত্যযাত্রীদের অনেকেই বলছেন, খুচরো সমস্যা হলে এক, দুই টাকা বেশি নিলেও কখনই ভাড়া কম নেন না এনবিএসটিসির কর্মীরা। সেই এনবিএসটিসি ভাড়ায় ছাড় দিচ্ছে শুনে অনেক যাত্রীই অবাক হয়েছেন।

Advertisement

কেন যাত্রী হচ্ছে না? কলকাতায় মাঝেমধ্যেই যাতায়াত করেন শিলিগুড়ির সুবিমল রায়। তিনি বলেন, ‘‘বহরমপুর, ফরাক্কায় বাসের স্টপেজ আছে। সেই সব স্টপেজের জন্য টিকিট কাটতে গেলে কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে যে, স্টপেজেই নামুন না কেন, কলকাতা পর্যন্ত যা ভাড়া তাই দিতে হবে। ফলে অনেক যাত্রীই চলে যাচ্ছেন বেসরকারি বাসে। কর্তৃপক্ষ যা বলছেন আর কাউন্টার থেকে যাঁরা টিকিট বিক্রি করছেন সেই কর্মীদের বক্তব্যের মধ্যে অনেক তফাৎ আছে।’’ আর এক যাত্রী অতনু সাহা বলেন, ‘‘অনলাইন চালু হলেও বেশিরভাগ সময়ই সেই ব্যবস্থায় টিকিট কাটা যাচ্ছে না। বাসটিকে জনপ্রিয় করার জন্য কোন পদক্ষেপই করেননি কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি সংস্থাগুলি যে ভাবে সুবিধা দেয় তার ধারেকাছে যেতে পারছে না এনবিএসটিসি।’’ এনবিএসটিসির একটি কর্মী সংগঠনের এক নেতা বলেন, ‘‘বাস নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। পর্দা, সিট কভার নোংরা হয়ে থাকে। বাসের ভিতর দুর্গন্ধ নিয়ে যাত্রীরা প্রায়শই অভিযোগ করেন। রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে এরকম বিস্তর অভিযোগ আছে। তাই বেকায়দায় না পড়লে যাত্রীরা আমাদের বাসে উঠতে চান না।’’ সংস্থার কর্তাদের দাবি কিন্তু অন্য। এনবিএসটিসির শিলিগুড়ির বিভাগীয় ম্যানেজার দীপঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘এটা মূলত ‘অফ সিজন’। তাই যাত্রী তুলনায় কম হচ্ছে।’’ যদিও এনবিএসটিসি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাসে যাত্রী ঘাটতি নতুন নয়। ছাড় দেওয়ার পরও বুধবারও সব আসন ভরেনি বলেই জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। দীপঙ্কর বলেন, ‘‘যাত্রী হয়রানির অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। বাসটিকে জনপ্রিয় করতে আমরা পদক্ষেপ করেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement