একের পর এক জায়গায় ধস। —নিজস্ব চিত্র।
আরও বিপর্যয়ের মুখে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধসের কারণে ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট জাতীয় সড়কটি তিস্তা নদীর পার ধরে গিয়েছে। ওই অংশটি ক্রমশ বসে যাচ্ছে বলে খবর। এখন আর এক-দুই নয়, বেশ কয়েক জায়গায় ধস নেমেছে। পাশাপাশি বৃষ্টির জলে ফুঁসছে তিস্তা। ধসের কারণে কালিম্পং জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
শনিবার রাতেও টানা বৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ে। সকাল থেকে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি জায়গায় কোথাও পাহাড় থেকে পাথর ধসে পড়ছে। কোথাও তিস্তার দিকে যাওয়ার জাতীয় সড়ক বসে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের গেইলখোলার কাছে সেলফিধরায় ধস নেমেছে। নতুন করে কালিঝোরা এবং হনুমান ঝোরায় ধস নেমে পুরো রাস্তাটাই বসে গিয়েছে। এখন বিকল্প রাস্তা হিসাবে সেবকের করোনেশন সেতু হয়ে ওদলাবাড়ি, ডামডিম, গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁও হয়ে কালিম্পং যাতায়াত করছে যানবাহন। সিকিম যাওয়ার জন্যও ওই রাস্তার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, পাহাড়ে অতি বৃষ্টির ফলে ধসকবলিত যে সব এলাকা রয়েছে, সেখানকার রাস্তা ঠিকঠাক করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অন্য দিকে, সিকিমে অতিবৃষ্টির ফলে তিস্তার জলস্ফীতি হয়েছে। তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন স্থানীয়েরা।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে কালিম্পঙের জেলাশাসক বালসুব্রহ্মণ্যম টি বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি জায়গা ধসের কারণে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে গেইলখোলার কাছে পাহাড় থেকে বিশাল আকৃতির পাথর পড়ে রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। আপাতত ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিকল্প রাস্তা হিসাবে ডুয়ার্সের গরুবাথান হয়ে যে রাস্তাটি গিয়েছে, সেটা ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজও শুরু হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘পরিস্থিতি কী হয়, তা বিকেলের আগে বলা সম্ভব নয়।’’