Jalpaiguri

রাজবাড়ির দিঘি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। ওই যুবক কি ভাবে ঘাটে গেল এবং কি ভাবে মারা গেল বিষয়টি নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। মহিলা ঘাটের কিছুটা দূরে রয়েছে রাজবাড়ি পার্ক। সেই পার্কের ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা কর্মী থাকেন। এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে অনুমান মৃতের পরিবারের। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:০১
Share:

এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে অনুমান মৃতের পরিবারের। নিজস্ব চিত্র।

জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি দিঘির মহিলা ঘাট থেকে উদ্ধার এক যুবকের মৃতদেহ। কিছুদিন আগেই এক ব্যক্তির মৃত উদ্ধার হয়েছিল ওই দিঘি থেকেই। ফের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃত যুবকের নাম অংশুমান দাস (৩৪)। বাড়ি শহরের মোহন্ত পাড়ায়। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। কোতোয়ালি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

এ দিন সাত সকালে রাজবাড়ি দিঘিতে সাঁতার কাটতে আসা শহরের বাসিন্দারা মহিলা ঘাটে কিছু একটা ভেসে থাকতে দেখেন। সেই সময় ওই ঘাটে কেউ ছিলেন না৷ পুরুষ ঘাটে থাকা যুবকরা এগিয়ে যেতেই তাঁদের নজরে আসে এক যুবক দিঘির সিঁড়িতে মুখ থুবড়ে জলের মধ্যে পড়ে রয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। স্থানীয়রা ভিড় জমায় দিঘির পাশে। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। ওই যুবক কি ভাবে ঘাটে গেল এবং কি ভাবে মারা গেল বিষয়টি নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। মহিলা ঘাটের কিছুটা দূরে রয়েছে রাজবাড়ি পার্ক। সেই পার্কের ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা কর্মী থাকেন। এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে অনুমান মৃতের পরিবারের।

এ দিকে পরিবারের দাবি, মৃত যুবক কিছুদিন ধরেই স্মায়ুরোগে ভুগছিলেন। কিন্তু রাজবাড়ি দিঘিতে কি ভাবে ওই যুবক গেল সেই বিষয়টি নিয়ে ধন্দে পরিবার। মাথায় চোট লেগেছিল কয়েকদিন আগে। এই কারণে মৃতের মাথায় হাসপাতালে করা ব্যান্ডেজ করা ছিল। ওই এলাকায় বাসিন্দা বাবুলাল দাস বলেন, ‘‘এই যুবককে আগে দিঘির পাশে দেখি নি। কি ভাবে মারা গেল বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।’’ পুলিশের দাবি, মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই এলাকায় নিরাপত্তাকর্মী ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement