প্রতীকী চিত্র।
ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। মাঝরাতে রাস্তা থেকে উদ্ধার হল গলায় ওড়নার ফাঁস জড়ানো ওই অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলার দেহ। রাতে টহলদারির সময় তা দেখে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মালদহের চাঁচলের গৌড়সণ্ড এলাকায় বুধবার রাতের ঘটনা। ইংরেজবাজারের ধানতলা-কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এমন ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ইটভাটার কাছাকাছি ওই দেহ উদ্ধার হওয়ায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা এলাকাবাসীর একাংশের। যদিও ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশ মানতে চায়নি। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশ ও ওই মহিলার পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি চাঁচলের একটি গ্রামে। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরে কয়েক মাস আগে অন্য এক জনকে বিয়ে করেন তিনি। দু’জনে মালদহে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামীর নাম ছাড়া তাঁর বাড়ি কোথায়, তাঁরা মালদহে কোথায় থাকতেন তা মহিলার বাবা-মা পুলিশকে জানাতে পারেননি। পুলিশ জানায়, দু’দিন আগে বাপের বাড়িতে যান ওই মহিলা। তার পরে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে টহল দিতে বেরিয়েছিলেন আইসি সুকুমার ঘোষ। রাত দেড়টা নাগাদ ওই মহিলাকে মাঝরাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তাঁকে অন্য কোথাও খুন করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। তবে কেন খুন করা হল বা কে ওই ঘটনায় জড়িত তা নিয়ে এখনও ধন্দে তদন্তকারীরা।
ঘটনার পিছনে দাম্পত্য কলহ নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।