দুই কর্তার ইস্তফায় বিপাকে পুরসভা

ভাইস চেয়ারম্যান আগেই পদত্যাগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যানও ইস্তফা দেন। এ দিকে, সদ্য নিযুক্ত এক্সিকিউটিভ অফিসারও ছুটিতে। ফলে, কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে ইংরেজবাজার পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩২
Share:

ভাইস চেয়ারম্যান আগেই পদত্যাগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যানও ইস্তফা দেন। এ দিকে, সদ্য নিযুক্ত এক্সিকিউটিভ অফিসারও ছুটিতে। ফলে, কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে ইংরেজবাজার পুরসভা।

Advertisement

চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ইস্তফা দেওয়ার পর চার দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত পুরসভার তত্বাবধায়ক হিসেবে কাউকেই নিযুক্ত করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পুরসভার কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও এদিন দুপুরের দিকে পদত্যাগী ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূলের কাউন্সিলার পুরসভায় যান। কাজকর্ম কেমন চলছে তার খোঁজ নেন তাঁরা।

কৃষ্ণেন্দুবাবু কেন দলের নির্দেশ সত্ত্বেও পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না, সেই প্রশ্ন তুলে কিছু দিন আগেই পুরসভার বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করেন ভাইস চেয়ারম্যান দুলালবাবু সহ আট তৃণমূল কাউন্সিলার। তারপরে দলের নির্দেশেই গত বৃহস্পতিবার ইস্তফা দেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। জেলাশাসকের কাছে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। ফলে পুরসভার দুটি শীর্ষ পদই এখন ফাঁকা।

Advertisement

গত ২৯ তারিখ পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে যোগ দিয়েছেন চন্দন গুহ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনিও শনিবার ও সোমবার ছুটিতে। ফলে পুরসভা কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বলে দাবি। বিকেলে জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী বলেন, পুরসভার তত্বাবধায়ক করা নিয়ে কোনও চিঠি এখনও পাইনি।

এ দিন দুপুরে পুরসভায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, পুরকর আদায়ের কাউন্টারে কর্মীরা বসে থাকলেও কর দিতে কোনও ভিড়ই নেই। পুরসভার কর্মীদের মধ্যেও ছিল ঢিলেঢেলা ভাব। দুলালবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘এ দিন আমরা কাজকর্ম তদারকি করেছি। পুরসভার কাজকর্ম স্বাভাবিকই চলছে।’’ তৃণমূল সূত্রে খবর, যতদিন না নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন, তত দিন দুলালবাবুকেই সম্ভবত পুরসভার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ করা হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement