বিরোধীদের পাশে বসিয়েই উন্নয়নের কাজের ঘোষণা

সিপিএম কাউন্সিলর দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস কাউন্সিলর বিমল পালচৌধুরি ও অন্যদের পাশে বসিয়েই সোমবার বিকেলে পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসুর দাবি পুরসভার উন্নয়নের কাজে বিরোধীরা সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৮
Share:

এক সঙ্গে: সোমবার বিকেলে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

বিরোধী কাউন্সিলরদের পাশে বসিয়েই জলপাইগুড়ি পুরসভার উন্নয়নের কাজের ঘোষণা করলেন চেয়ারম্যান। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসুর ঘোষণা, ‘‘উন্নয়নের কাজ নিয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভা কখনও বিমাতৃসুলভ আচরণ করে না।’’

Advertisement

সিপিএম কাউন্সিলর দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস কাউন্সিলর বিমল পালচৌধুরি ও অন্যদের পাশে বসিয়েই সোমবার বিকেলে পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসুর দাবি পুরসভার উন্নয়নের কাজে বিরোধীরা সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। সিপিএম কাউন্সিলর দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উন্নয়নের কাজে আমরা কখনওই কোনও রাজনীতি করি না। পুরসভা আরও বেশি তৎপর হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’’ দুর্গা পুজোর আগে জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তার বেহাল পরিস্থিতি কাটাতে পুরসভা উদ্যোগী হয়েছে বলে দাবি চেয়ারম্যানের। জলপাইগুড়ি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় ৮৫ শতাংশ রাস্তা বেহাল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি, আংশিক ভাবে রাস্তাগুলির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে ঠিকই। তবে এই রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পুরসভা সূত্রের খবর, এর মধ্যেই রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় এক কোটি ১৩ লক্ষ টাকার কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডটি সিপিএমের দখলে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাবেরী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দীর্ঘ চার বছর পর এই ওয়ার্ডের উন্নয়নের কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হল। প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ করা সম্ভব। আরও অর্থের প্রয়োজন।’’ এ দিনের বৈঠকে রাস্তা সংস্কারের কাজ ও জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার থেকে অতিরিক্ত এক ঘণ্টা বাড়তি সময় জল সরবরাহ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুর এলাকায় অতিরিক্ত পথ বাতি লাগানোর জন্যেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

বৈঠক শেষে কংগ্রেস কাউন্সিলর অম্লান মুনসি বলেন, ‘‘আমরা পুরসভার নাগরিক পরিষেবার দুরবস্থা নিয়ে সরব হচ্ছি। ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা দিতে বর্তমান পুর কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement