মেয়র গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র।
শিলিগুড়ি শহরে কেউ কিছু উন্নয়ন কাজ করলে পুরসভাকে আগাম জানিয়েই তা করা রীতি বলে নাম না করে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) কর্মপদ্ধতি নিয়ে ‘বার্তা’ দিলেন পুরসভার মেয়র গৌতম দেব।
ছটপুজো উপলক্ষে শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে ১০,৬০০ পরিবারকে তিন কেজি করে গম দেওয়া হয়। এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীও গম বিলি করেন ১০ হাজারের বেশি পরিবারকে। সেই সঙ্গে পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় ছট-ঘাট এসজেডিএ-র তরফে তৈরি করে দেওয়া হয়। পুরসভা, এসজেডিএ কর্তৃপক্ষের কাজের পরেও কিছু জায়গায় ছটপুজো কমিটি ঘাট তৈরি করেছে বলে দাবি। সে কারণে কোন কাজ, কে করছে, তা নিয়ে সমন্বয়ের অভাব হচ্ছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে ছটপুজোর জন্য তারা কী কাজ করেছে, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিক বৈঠক করে দেওয়া হয়েছে। মেয়র, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ মানিক দে উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। মেয়র জানান, কিছু এলাকায় ছটব্রতী মানুষদের গম দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। তালিকা ধরে দেওয়া হয়েছে, পদ্ধতি মেনে। বরোর মাধ্যমে ওয়ার্ডগুলোতে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার ক্ষমতা, কাজের নিয়ম, বিধি মেনে সব করা হচ্ছে।
এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার তার মতো চলে, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের মতো। দুটোর কর্মপদ্ধতি আলাদা। বিতর্কে যেতে চাই না। পুর এলাকায় কাজের জন্য সবাইকে স্বাগত। কোনও সমস্যা নেই। কাজ করলে, মানুষই উপকৃত হবে। জানিয়ে করলেও স্বাগত, না জানিয়ে করলেও স্বাগত। তবে একই কাজ একাধিক জন না করাই ভাল। একটা কর্মসূচি কেউ নিলে, সেটা আবার আর এক জন করল, সে রকম না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। আমি যখন ওই দফতরে ছিলাম, চিঠি দিয়ে জানিয়ে কাজ করতাম।’’
এসজেডিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘ছটপুজোর ঘাটগুলো পুরসভাকে জানিয়েই করা হয়েছে। তা ছাড়া, ছটব্রতীদের গম বিলি এসজেডিএ-র তরফে করা হয়নি। ব্যক্তি উদ্যোগে করেছি। মেয়র আমাদের নেতা। তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেই কাজ হয়। সমন্বয়ের অভাবের প্রশ্ন নেই।’’
এ দিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে মেয়রের মুখে। আগের দিন দফতরের মন্ত্রী উদয়ন গুহের সঙ্গে বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে শিলিগুড়ি শহরে অন্তত ২০ কোটি টাকার কাজের বিষয়টি চূ়ড়ান্ত হয়েছে। একটি সেতু তৈরিও করে দেবে তারা। মেয়র বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গ্রামে-শহরে বৈঠক করছেন। তাঁর দফতরের বাজেট অনেক বেশি। পুর এলাকার জন্যও কাজ করে দিচ্ছেন।’’