প্রতীকী চিত্র
নিজের ন’মাসের শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগ উঠল এক তরুণীর বিরুদ্ধে। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার ডোহাবাড়িতে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে বাড়ির কাছে একটি পুকুর থেকে ওই শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির নাম রেজিওয়ানা খাতুন (৯ মাস)। অভিযুক্ত সাবেরুন নেছাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সাবেরুনের স্বামী রাকিব আলম ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁদের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। ছোট মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত রবিবার থেকে ওই শিশু নিখোঁজ ছিল।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। দেহটিকে ঢেকে দেওয়া হয় কচুরিপানায়। পুলিশ জানিয়েছে, সাবেরুন দাবি করেছিলেন, তাঁর মেয়েকে কেউ চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয় থানায়। তদন্তে নেমে কিছু তথ্য পায় পুলিশ। বারবার জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়েন ওই তরুণী। ওই পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটির দেহ। পুলিশের দাবি, জেরায় দোষ স্বীকার করেন ওই মহিলা।
কেন খুন করা হয় ওই শিশুকন্যাকে? পুলিশের দাবি, জেরায় সাবেরুন জানিয়েছেন, ছোটমেয়ে তাঁকে খুব বিরক্ত করত। সে জন্যই তাকে খুন করেন। তা ছাড়া সংসারে অনটন রয়েছে। তিন মেয়ের বিয়ে নিয়েও চিন্তা ছিল পরিবারে। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, পর পর তিনটি মেয়ে হওয়ায় এ ভাবে ওই শিশুকন্যাকে খুন করা হল। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। নিজামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাহেদি বেগম বলেছেন, ‘‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। মেয়ে হওয়ায় কী করে ওই তরুণী এ ভাবে খুন করল! পুলিশকে বলা হয়েছে প্রকৃত কারণ খুঁজে পদক্ষেপ করার।’’
ইসলামপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘‘তদন্ত চলছে।’’