Bimal Gurung

Bimal Gurung: বিমল গুরুঙ্গদের সর্বদল আলোচনাসভায় এল না পাহাড়ের অধিকাংশ দলই

শনিবার আমন্ত্রিত দলগুলির প্রতিনিধিদের অধিকাংশই না আসায় কালিম্পঙে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আলোচনাসভায় গেলেন না বিমল নিজেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালিম্পং শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৫৬
Share:

কালিম্পঙে জিজেএম-এর আলোচনাসভা। নিজস্ব চিত্র।

আলোচনার বিষয় ছিল, জিটিএ নির্বাচনের আগে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান।সভার আয়োজক গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুঙ্গ জানিয়েছিলেন, সমস্ত দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমন্ত্রিতের সকলেই সভায় যোগ দিতে আসবেন বলেও জানিয়েছিলেন আত্মবিশ্বাসী বিমল। কিন্তু সেই পূর্বাভাস মিলল না।

এমনকি, শনিবার আমন্ত্রিত দলগুলির প্রতিনিধিদের অধিকাংশই না আসায় কালিম্পঙের আলোচনাসভায় গেলেন না বিমল নিজেই। স্পষ্ট হল, এক সময় যে ‘দাইজু’র ডাকে পাহাড়ের মানুষ ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতেন, তারা এখন সাড়া দিচ্ছেন না তাঁর ডাকে।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২৮ মার্চ দার্জিলিঙে চারটি দলকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন । গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার পক্ষে দলের সভাপতি অনিত থাপা, হামরো পার্টির ছিলেন অজয় এডওয়ার্ড এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে শান্তা ছেত্রী ও বিনয় তামাং ।

সভা শেষে সব দলই জিটিএ নির্বাচনের দাবিতে সমর্থন জানান। একমাত্র বেঁকে বসেন রোশনরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, আগে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান হবে তার পর জিটিএ-র ভোট। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সকলেই রাজি, শুধু বিমলদের কিছু দাবি রয়েছে ।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে থাকাকালীনই দার্জিলিঙয়ের মালিধুরাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিমল গুরুং । সেখান থেকেই জানিয়েছিলেন, ‘‘পাহাড়ের সব দলকে নিয়ে বৈঠক করব।’’ সেই মতো শনিবার কালিম্পংয়ের সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার্যত ‘ফ্লপ শো’-তে পরিণত হল।

কালিম্পঙয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলে ‘পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান’ শনিবারের আলোচনাসভায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রোশন গিরি। কিন্তু বৈঠকে বিমল ছিলেন না। দেখা মিলল না ভারতীয় গোর্খা প্রাজতান্ত্রিক মোর্চা, হামরো পার্টি বা তৃণমূলের। শুধু সিপিআরএম, গোর্খা রাষ্ট্রীয় কংগ্রেসের মতো কয়েকটি ছোট সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ছিল কিছু অরাজনৈতিক সংগঠনও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement