লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত রামমন্দির নিয়ে উন্মাদনা জিইয়ে রাখতে তৎপর সঙ্ঘ নেতারা। —ফাইল চিত্র।
রামমন্দির নিয়ে উন্মাদনা গ্রাম থেকে শহরে ছড়িয়ে দিতে তৎপর ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংস্বক সঙ্ঘ। তাতে তারা কার্যত সফল বলে দাবি সঙ্ঘ পরিবারের। এ বার লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত এই উন্মাদনা জিইয়ে রাখতে তৎপর সঙ্ঘ নেতারা। রামমন্দির সংক্রান্ত যে কোনও কর্মসূচিকেই তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাইছেন। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে রামমন্দির দর্শন করাতে অযোধ্যা নিয়ে যাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম ধাপে উত্তরবঙ্গ থেকে দু’হাজারেরও বেশি মানুষকে অযোধ্যায় নিয়ে যাবে তারা। সে জন্য একটি ট্রেনও ভাড়া করা হয়েছে বলে খবর। আপাতত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে ট্রেনটি আলিপুরদুয়ার থেকে ছাড়ার কথা। পরের ধাপে এনজেপি থেকে ছাড়বে আরও একটি ট্রেন। বিরোধীদের অভিযোগ, সবটাই ভোটকেন্দ্রিক। রাম আবেগকে উস্কে দিয়ে ভোট পাওয়ার কৌশল বিজেপির।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, অযোধ্যায় যেতে আগ্রহী অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযাগ করছেন। সঙ্ঘ নেতারা জানিয়েছেন, ভিড় না কমলে অযোধ্যায় যাওয়ার দিন আরও পিছিয়ে যেতে পারে। তাদের তালিকার প্রথম দিকে রয়েছেন করসেবকেরা। উত্তরবঙ্গে এখনও একশো জনের মতো করসেবক রয়েছেন। তাঁদের পরিবারকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। করসেবক ছিলেন, কিন্তু মৃত্যু হয়েছে, সে রকম পরিবারের অন্তত দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হবে রামমন্দির দর্শন করাতে। তালিকার প্রথম দিকে রয়েছেন সঙ্ঘের কার্যকর্তারাও। পরের ধাপে সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে যাবে তারা।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গের সম্পাদক (সংগঠন) অনুপকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘রামমন্দির উদ্বোধনে যে সাড়া পড়েছে তাতে আমরা নিশ্চিত, রামভক্তেরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। করসেবকদের মন্দির দর্শন করিয়ে আবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। বাকিদের নিজেদের খরচেই যেতে হবে। দক্ষিণবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ থেকে আপাতত একটি করে ট্রেন ধরা হয়েছে।’’
রামমন্দির উদ্বোধনের আগে অযোধ্যার পুজিত চাল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। উত্তরবঙ্গের ২২ লক্ষ পরিবারে চাল পৌঁছে দিয়ে জনসংযোগ করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষও। সেই সূত্র ধরে সঙ্ঘ নেতাদের একাংশের ধারণা, তাঁরা সফল হয়েছেন। আগামী লোকসভায় এর প্রভাব পড়বে। গ্রাম পঞ্চায়েত, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে পিছিয়ে পড়া বিজেপি আবার মাথা তুলতে পারবে বলে তাঁদের দাবি।
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে মানুষ নেই। তাই রামকে রাজনীতির ময়দানে নামিয়েছে তারা। আমরা সম্প্রীতির কথা বলছি।’’