Kisan Credit Card

কিসান কার্ড পাননি ত্রিশ হাজার কৃষক 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে ওই বিষয় নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বারবার আবেদন করার পরেও মেলেনি কিসান ক্রেডিট কার্ড। ফলে এখনও অনেক কৃষককেই ঋণের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে মহাজনের উপরেই। এমন অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারে।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে ওই বিষয় নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় বৈঠকও হয়েছে। আজ, বুধবার ফের কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বৈঠক ডেকেছেন। জেলাশাসক অবশ্য জানান, অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কৃষকদের হাতে কিসান ক্রেডিট তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ক্ষেত্রেও দ্রুত কাজ হচ্ছে। কোচবিহারের লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “চল্লিশ হাজার ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।”

প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, কোচবিহারে আড়াই লক্ষ কিসান ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। তার বাইরেও একটি অংশের কৃষকের কিসান ক্রেডিট কার্ড ছিল না। লকডাউনের শুরুতে সেই কৃষকদের এই কার্ডের আওতাভুক্ত করতে কাজ শুরু করে প্রশাসন।

Advertisement

প্রশাসন জানিয়েছে, সেই সময় সব মিলিয়ে প্রায় ৭৭ হাজার কৃষকের আবেদনপত্র জমা হয়। সেই কৃষকের মধ্যে ৪০ হাজারের কিছু বেশি কৃষকের কিসান ক্রেডিট কার্ড ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩০ হাজারের মধ্যে ১৫ হাজার কৃষকের সঠিক নথিপত্র ছিল না বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। সেই কারণে তাঁদের ফের সমস্ত নথি দিয়ে আবেদন করার জন্য জানানো হয়েছে। প্রশাসন দাবি করেছে, সাড়ে তিন হাজার ইতিমধ্যেই নতুন করে আবেদন করেছেন। বাকি ১৫ হাজার কৃষকের কিসান কার্ড দেওয়ার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

কোচবিহারে বরাবর এমন অভিযোগ রয়েছে, আলু, ধান বা পাট এবং একাধিক চাষের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত ঋণ নিয়ে চাষ করতে হয়। ফলে অনেক সময়ই লোকসানের মুখে পড়তে হয় কৃষকদের। কিসান ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প চালু হওয়ার পরে ওই সমস্যা অনেকটাই মিটতে শুরু করে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর ওই প্রকল্পের কী অবস্থা তা জানতে চান প্রশাসনিক বৈঠকে।

কোচবিহারের একটি ফার্মার্স ক্লাবের সম্পাদক অমল রায় বলেন, “কিসান ক্রেডিট কার্ড খুব প্রয়োজন। কারণ চাষের সময় কৃষকদের টাকার প্রয়োজন হয়। এই কাজ দ্রুত হবে বলে আশা রাখছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement