ফাইল চিত্র
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের মাথায় বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসুকে কেন রাখা হল না, তা জানতে ‘দিদিকে বলো’-তে অভিযোগ জানাবেন মোহন অনুগামীরা। ওই দলে রয়েছেন পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলরদের একটি বড় অংশ। শাসকদলের কাউন্সিলরেরা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও চিঠি পাঠাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূলের অন্দরেও এখন এই বিষয়ে জোর চর্চা চলছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রশাসক হিসেবে চেয়ারম্যান মোহন বসু, ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল, চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সন্দীপ মাহাতো, সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং পৌলমী সাহার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। এই প্রস্তাব কী ভাবে নাকচ করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মোহন অনুগামীরা।
বিদায়ী কাউন্সিলর পৌলমী সাহা বলেন, ‘‘রাজ্যের সব পুরসভার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানকেই মুখ্য প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়িতে ব্যাতিক্রম করা হয়েছে কেন? এর পিছনে অবশ্যই দলের মদত আছে। ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের ক্ষোভের কথা অবশ্যই জানাব।’’ পুরসভার আর এক কাউন্সিলর মালা ভৌমিক বলেন, ‘‘মোহন বসুর সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে। এত দিন ধরে জলপাইগুড়ি পুরসভাকে যিনি পরিচালনা করে আসছেন, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ জানাব। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও চিঠি দেব।’’
মোহন অনুগামীরা জানান, কেউ কেউ বলছেন মোহন বসু অসুস্থ। কিন্তু তিনি এখন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। ১৪মে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেছেন তিনি। এছাড়াও নিয়মিত পুরসভায় আসা, সব কাজের তদারকি করা সবই তো করছেন তিনি। তাহলে কেন তাঁকে বাদ দিয়ে মুখ্য প্রশাসকের দায়িত্ব ভাইস চেয়ারম্যানকে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
মোহন বসু বলেন, ‘‘আমি দলের চক্রান্তের শিকার হয়েছি । দলে যাঁরা কাজ করেন তাঁদেরকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে অনেকদিন ধরে। এই চক্রান্তেরই শিকার হতে হয়েছে আমাকে।’’
এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, ‘‘সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে দলের তরফে কিছু বলা ঠিক নয়। প্রশাসক হিসেবে যিনি কাজ করতে পারবেন, সরকার তাঁকেই দায়িত্ব দিয়েছেন।’’