ফাইল চিত্র।
নতুন-পুরনো হোক বা বিক্ষুব্ধ-অপসারিত-সব গোষ্ঠীর নেতারই ঠাঁই হল তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটিতে। শুক্রবার ঘোষিত ওই কমিটিতে ৬৬ জন রয়েছেন। দলের বর্তমান জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ‘ত্রিশূল চিহ্নে’ ভোটে দাঁড়ানোর হুমকি দেওয়া জলপাইগুড়ি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসু নতুন কমিটির সহ সভাপতি হয়েছেন। প্রাক্তন জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর অনুগামীরা রয়েছেন, কিছুদিন আগে দলই ধূপগুড়ির যে নেতাদের ‘দুর্নীতির অভিযোগে’ শোকজ করেছিল তাঁদেরও কয়েকজন রয়েছেন। ‘স্বচ্ছতা’র প্রশ্নে সম্প্রতি ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসারিত নেতারাও জেলা কমিটিতে রয়েছেন।
জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর মন্তব্য, “দস্যু রত্নাকরও একদিন ঋষি বাল্মিকী হয়ে উঠেছিলেন। রাজ্য নেতৃত্ব সকলকে আরেকবার সুযোগ দিলেন।” তবে মোহন বসু বলেছেন, “রাজ্য নেতৃত্ব যখন দায়িত্ব নিয়েছে জেলায় দলকে শক্তিশালী করার, তখন এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য না করাই ভাল। শুধু আমি কমিটিতে থাকলেই তো হবে না, কে কোন দায়িত্বে রয়েছে তাও দেখার বিষয় রয়েছে। পুরো কমিটি দেখেই আমি আমার সিদ্ধান্ত জানাব।”
তবে জলপাইগুড়ির মতো জেলায় কমিটিতে সব গোষ্ঠীর লোকজন রেখেও দল যাতে সুষ্ঠুভাবে চালানো যায় তার জন্য পর্যটনমন্ত্রী এবং জেলার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক গৌতম দেবকে মাথায় রেখে একটি কোর কমিটিও গড়ে দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব, মত জেলার নেতাদের।
কমিটিতে নতুন পদও তৈরি হয়েছে। যেমন সিনিয়র সহ সভাপতির পদ। তাতে দলের পুরনো মুখ অশোক বর্মণ, শশাঙ্ক রায়বাসুনিয়া, গোপাল ছেত্রী, করুণাময় চক্রবর্তী, গৌতম দাস রয়েছেন। এ দিন বেশ কিছু ব্লকের সভাপতি বদলেছে। ময়নাগুড়ি সাংগঠনিক ব্লক আগে ছিল দুটি এখন করা হল তিনটি। ধূপগুড়ি
ব্লককে তিনটিতে সাংগঠনিক ব্লকে ভাঙা হয়েছে।
এ দিন যুব তৃণমূলের জেলা কমিটিও ঘোষণা করেছেন জেলা যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়।