নতুন ভাবনায় বাগডোগরা বিমানবন্দর। ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে, আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ প্রায় ১,৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দে বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের কাজ শুরু হতে চলেছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, নতুন বিমানবন্দরের টার্মিনালের নকশা, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দায়িত্ব পেয়েছে আরবান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এশিয়া-সেরার তালিকায় প্রথম পাঁচে থাকা একটি সংস্থা। ওই সংস্থাটি এখন বীরভূমে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করছে। বাগডোগরা হবে রাজ্যে তাদের দ্বিতীয় প্রকল্প। গত সপ্তাহে দিল্লি থেকে রাজ্যে এসেছিলেন সংস্থার প্রধান দিকসু কুকরেজা৷ ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র (এএআই) অফিসারদের সঙ্গে তিনি বৈঠকও করেছেন।
দিকসু বলেছেন, ‘‘একেবারে আন্তর্জাতিক মানের নতুন বিমানবন্দর হিসাবে বাগডোগরা সামনে আসবে। নকশা তৈরি, কিছু বিষয় নিয়ে কাজ চলছে। আগামী মার্চ-এপ্রিলে কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। আগামী দু’বছরের মধ্যে এই নতুন বিমানবন্দরের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।’’
‘এএআই’ সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের পাহাড়-সমতলের সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে বিমানবন্দরে নির্মাণ কাজের মধ্যে ফুটিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তেমনই, ‘গ্রিনফিল্ড’ বিমানবন্দর হিসাবেই বিমানবন্দরটি গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আপাতত প্রায় ১০০ একর নতুন জমির সীমানা ঘেরার কাজ চলছে। সেই সঙ্গে বিমানবন্দরের নতুন নকশা তৈরি হচ্ছে। এ জন্য আট সপ্তাহ বরাদ্দ করা হয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা মহম্মদ আরিফ বলেছেন, ‘‘বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজে বরাত দেওয়া হয়ে গিয়েছে। জমি অধিগ্রহণও শেষ। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’
বাস্তুকারেরা জানান, বিরাট অর্থাৎ, আকারে বিশাল বিমানবন্দর টার্মিনাল নয়। উত্তরের প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নকশা করা হচ্ছে। পুরনো টার্মিনালটি হয় কার্গো বা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল হিসেবে নতুনের সঙ্গে জুড়ে যাবে।
বিমানবন্দরের অফিসারেরা জানাচ্ছেন, তাইল্যান্ড, দুবাই, নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটান, হংকং, সিঙ্গাপুরের মতো দেশের বিমানের চাহিদা সব সময়েই থাকে। আপাতত বাগডোগরা থেকে একটিই আন্তর্জাতিক বিমান চলে। নতুন বিমানবন্দর চালু হওয়ার পরে, বিদেশের সংযোগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।